Ads 468x60px

Wednesday, December 16, 2015

কেন যে তোমায় বলতে গেলাম ভালবাসি না হয় আজও থাকতে তুমি আমার পাশাপাশি,অসতর্ক অসময়ে ভুল করে ভালবাসি বলতেই তুমি দুরে সরে গেলে ভয়ে না হয় আজও থাকতে তুমি আমার সিমানা ছুয়ে ভালবাসি এ কথাটি ভুল করেও বলতে নেই,ভালবাসা বেঁচে থাকে ভালবাসাতেই.............
মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যি কেউ কারো নয়,সময়ের প্রয়োজনে জীবনে কেউ একজন আসে আবার সময়ের প্রয়োজনে জীবন থেকে হারিয়ে যায় বাস্তব আসলে অনেক বেশি ভয়ংকর,আর আবেগ খুব খারাপ পৃথিবীর কারো আপন হওয়াটা খুব সহজ,কিন্ত কাউকে আপন করে পাওয়াটা খুব কঠিন.............
তুমি পাশে নেই, তবু তোমায় অনুভব করি…তুমি আমার হবে না জানি, তবু তোমার পথ চেয়ে আছি স্বপ্ন সত্যি হবে না জানি, তবু তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি কারণ, আমি যে তোমায় ভীষণ ভালোবাসি………
আজ হয়তো আপনি কারো হাত টি ছেড়ে দিয়ে বদলে নিচ্ছেন নিজেকে কিন্তু, একবার ভেবে দেখুন তো, কোনো একদিন এই মানুষটিই শুধু আপনার হাত টি ধরার জন্য, নিজেকে বদলে নিয়েছিলো তাই ভালোবাসার মানুষটির হাত টি ছেড়ে দেবার আগে অত্যন্ত একবার হলেও ভেবে দেখুন তার মতো কেউ আপনাকে ভালোবাসবে কি না ।
নিষ্ঠুর তুমি ,কেমন তোমার মন ??
কিভেবে থাকতে পারো ভুলে সারাক্ষণ ...
মনে কি পড়ে না ,একটুও আমাকে ??
তুমি জানো কতটা miss করি আমি তোমাকে ...............
একটু একটু করে ভালোলাগার
মুহূর্ত থেকেই সীমাহীন
ভালোবাসার সৃষ্টি করতে পারে,
তেমনিই একটু একটু করে আঘাত
পেতে পেতে এ মনটা কাছের
মানুষও অদুরে চলে যেতে পারে....!!

Monday, December 14, 2015

এই ঠোঁটে ঠোঁট রেখে দেখ ঝলসে যাবি তুই,জানিস না তুই স্বপ্নে তোকে কতবার আমি ছুঁই,তোর বুকের জমিনে নিজেকে বীজের মত ছিটিয়ে দিলাম নগ্ন শরীরের সমস্ত ভাঁজে ভাঁজে নিজেকে কি অনায়াসে গুঁটিয়ে নিলাম, একটি নতুন সূর্য দেখবো বলে এতো কষ্ট করে ফলিয়েছি ফসল তোর কোলে,আমার সমস্ত শক্তি করেছে তোকে ভক্তি,এঁকেছি কত না বুকে তোর আল্পনা ভুলে গেছি আমি অতীতের সব জল্পনা কল্পনা,স্বপ্নে বিভোর ঘার্মাক্ত আমি চেয়েছি শুধু মুক্তি অবহেলিত ভাবে দিয়ে গেছো তোমরা অনার্থক সব যুক্তি,আমি ফলাতে চাই একটি ভালবাসা যার জন্য হয়েছি আজ কবিতার চাষা।
মাঝে মাঝেই তোমাকে দেখি,বড় চমকে উঠি,বুকের নিষিদ্ধ পল্লীর শ্মশান ঘাটে কে তুমি?এলো চুলে মানবী! রক্ত লাল ডাগর চোখে ফ্যাল ফ্যাল চেয়ে থাকো,মনে হয় বহু বছর ঘুম নেই তোমার দু'চোখে,চোখের কোনে বেদনার বিস্তীর্ণ আস্তোরণ,কি চাও এই উদ্বাস্তুুর নিষিদ্ধ পল্লীতে!তোমার চাতক চোখ আশ্বস্ত হবার মতো এখানে কিচ্ছু নেই,বয়ে চলা নদী,ফুলের উদ্যান সবই অতীত, বহু ফাগুন সমাধিত এই চিতার সোনালী আগুনে। ভুল রমনী ভালবেসে জীবিত মরন। যদি যেতে না চাও,তবে থেকে যেও। বড় একা একা লাগে ভূতুড়ে এই পল্লীতে,চিতার পাশেই নিদ্রা যেও,কিছুদিন তো তবু যুগল যাবে! শূন্যতা বিরান চারণ ভূমি,এক মানবী তুমি,আর কতটুকু খাবে।
খুব সকালে পায়রা দুটো খবর এনেছে, তোমার হৃদয় সত্যিই নাকি চুরি হয়েছে,!! তোমার নাকি আশার খেয়ায় বাতাস লেগেছে!!তুমি নাকি ব্যাকুল থাকো আমার অপেক্ষায়,, তোমার নাকি চাওয়া পাওয়া আমাতেই শেষ হয়।।অধীর তুমি,মুগ্ধ তুমি, আমার আবেশে, কল্পপ্রণয় রচনা করো প্রতি নিঃশ্বাসে।।হৃদয় ছোয়া আবীর রঙে সাজাও তুমি আমায়, তোমার প্রিয় ফুলের মালা পড়িয়ে দাও গলায়।।ব্যাকুল তোমার হৃদয় মন, অসীম তোমার আশা, ভাবছো তুমি এই হৃদয়ে হবে তোমার বাসা।।মুচকি হাসি,আমি তোমার আকুল আবেদনে, মনটা আজ ভিষন খুশী, তোমার আহবানে।।মন চেয়েছি, মন পেয়েছি মন দিবো কি তাই!!ভাবছি বসে ঠায়, পায়রা দুটো চেয়ে আছে খবর কি পাঠাই ??

Saturday, December 12, 2015

"নীল পরী" তার ছেঁড়া গিটার (SiLeNt PaIN)


রাত ২ টা । হঠাত্ করে ঘুম ভেঙ্গে গেল রিফাতের ।কিছু ভাল লাগছেনা তার, সিগারেট প্যাকেট থেকে একটা নিয়ে ধরালো সে । সিগারেটের সাদা ধোয়ার সাথে তার দুঃখ কষ্ট গুলোকে মুক্ত করে দিতে চাইছে সে । সিগারেট শেষ করে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ফেসবুকে লগিন করল ।একটা ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসছে "নীল পরী" আইডি থেকে । নামটা রিফাতের অনেক পছন্দ, কারন রিফাত যে মেয়েটাকে ভালবাসে তাকে রিফাত নীল পরী বলে ডাকে। কোন কিছু না ভেবে রিফাত একস্পেট করল । কিছুক্ষণ পর ঐ আইডি থেকে sms আসল হাই,হ্যালো-আপনি এত ভাব নেন কেন??-সরি আমি তো ভাব নেওয়ার মত আচরণ করি নাই। -করেন নাই মানে, একটা মেয়ে আপনাকে sms করল আর আপনি শুধু হ্যালো বলেই শেষ??-আসলে মেয়েদের সাথে কথা বলার ইচ্ছে আমার নাই।-হুমম সব ছেলেই প্রথমে এমনটা বলে কিন্তু পরে দেখা যায় তার ৩-৪ টা
গার্লফ্রেন্ড ।-হুম হতে পারে তাই বলে সবাই এক না -হুম বুঝলাম ।-কী বুঝলেন??
-আপনার মাথার তার ছেঁড়া ।-হুমম সবাই তাই বলে ।-আচ্ছা বাদ দেন কেমন আছেন??
-ভাল । আপনি??-এতক্ষন ভাল ছিলাম না এখন ভাল আছি।-কেন??-আপনার সাথে কথা বললাম তাই এখন ভাল আছি। -আপনি কী আমায় চিনেন??-হয়তো চিনি । কেন কোন সমস্যা??কোন উওর না দিয়ে ফেসবুক থেকে বের হয়ে গেলাম। কিচ্ছু ভাল লাগছেনা পাশে থেকে গিটার টা নিয়ে সুর তুলে গান গাইতে শুরু করলাম......¨যখন নিঝুম রাতে সব কিছু চুপ...নিস্প্রান নগরীতে ঝিঝিরাও ঘুম...আমি চাঁদের আলো হয়ে তোমার কালো ঘরে...জেগে রই সারা নিশি...হুমম এতটা ভালোবাসি...এতটা ভালোবাসি¨
গানটা শেষ করে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম । কখন যে ঘুমিয়ে গেছি উঠে দেখি সকাল ১০ টা বাজে । আজকে ক্লাসটা মিস হয়ে গেল ।ফ্রেশ হয়ে ফেসবুকে লগিন করলাম সাথে সাথে নীল পরী আইডি থেকে sms আসল...-আপনি তো অনেক অহংকারী ।-কেন?? কারনটা কী জানতে পারি??- রাতে sms করলাম আপনি আমার sms দেখেও উওর দেন নাই এজন্য ।-আসলে আমি তখন একটু ব্যস্ত ছিলাম ।-কেন আপনার গার্ল ফ্রেন্ড কি
আপনাকে ফোন করছিল??-আমার মনটা ভাল ছিল না, তাই গিটার নিয়ে গান গাইতে ছিলাম ।-আমাকে গান শোনাবেন??- না পারবো না ??কেন??- সেটা জানিনা ।-আপনার নীল পরী নামটা অনেক পছন্দ তাইনা ??-আপনি কী ভাবে জানলেন??- আমি আপনার সব কিছুই জানি ।- আপনি কী আমায় চিনেন হুমম??- আপনি কে ??আপনার নামটা কী বলা যাবে??- না ।-আপনি কে??-বুঝে নেন ।-না বললে কেমন করে বুঝব??I LOVE U...- sorry আপনি কী বলছেন এই গুলো??- হুমম যা বলছি সেটাই, আমি আপনাকে
অনেক ভালবাসি ।- sorry আমি পারব না ।- কেন ??-কারন আমি একটা মেয়েকে অনেক ভালবাসি ।- নাম কী তার??-নাম বলতে পারব না , তবে তাকে আমি নীল পরী বলে ডাকি ।আমি আমার নীল পরীকে অনেক বেশি ভালবাসি ।আপনার নীল পরী কী আপনাকে ভালবাসে??সেটা জানিনা । ওকে আমি আমার ভালবাসার কথা জানাইছি, কিন্তু নীল পরী আমাকে কোন কিছু বলে নাই ।সে যদি আপনাকে ভাল না বাসে??আমি আমার মরণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করব ।আপনি আপনার নীল পরীকে এত
ভালবাসেন??হুমম ।আমি আপনার সাথে দেখা করতে চায়।sorry আমি পারব না । প্লিজ অন্তত একবার । আমি পারব না ।প্লিজ একটি বারের জন্য ।কী করব বুঝতে পারছি না । অবশেষে মেয়টাকে বলে দিলাম okk আমি দেখা করব ।Thank you -welcome... কোথায় দেখা করবেন??আপনার প্রিয় জায়গাটা, আপনি যেখানে প্রতিদিন বিকেলে বসে
থাকেন ঐ জায়গায় ।আমি প্রতিদিন ঐ জায়গায় বসে থাকি আপনি কিভাবে জানেন??
-আজকে বিকেলে ৫ টায় আসেন সব জানতে পারবেন।ok আসব bye..- হুমম ভাল থাকবেন bye..কে এই মেয়েটা?? দেখা করতে গেলে আবার কোন সমস্যা হবে না তো ??ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি ঠিক পাইনি । উঠে দেখি ৪:৪৫ বাজে.. ফ্রেশ হয়ে আমি আমার গন্তব্যস্থলে পৌছে গেলাম । ৫ টা বাজে এখনও সে মেয়েটার কোন
খবর নাই । মোবাইল বের করে একটা গান প্লে করলাম.."আমার রাজ্য ভীষণ ছোট তখন..দিন কেটে যায় ঘুরে ফিরে..বড্ড সরল জীবনটাই আমার...কষ্ট থাকে দুরে দুরে..
সেই রাজ্যের সাগর পাড়ে..হঠাত্ যেন ভীড়লো তরী..কে যেন এসে সামনে দাঁড়ালো..
ঠিক যেন মোর রাজকুমারী .."ধুর এই অপেক্ষা জিনিসটা ভাল লাগে না নাহ ।মেয়েটা মনে হয় আর আসবেনা।বসে ছিলাম চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাড়ালাম., পিছন ফিরে দেখি যাকে আমি অসম্ভব ভালবাসি, সেই নীল পরী আমার সামনে দাড়িয়ে আছে..তু তুমি এখানে??কেন বিশ্বাস হচ্ছে না??কিন্তু তুমি এসময় এখানে??ফেসবুকে নীল পরী ঐটাই আমি।কতটা ভালবাস আমায় ??সেটা পরিমাপ করতে পারব না, তবে অনেকটা ভালবাসি তোমায়।সত্যি??হুমম ।তাহলে প্রপোজ কর।আমি ??ও আচ্ছা, থাকো তাহলে আমি গেলাম ।এই প্লিজ যেও না ।তাহলে এক্ষুণি আমায় প্রপোজ কর ।ok তাহলে বলেই দেয়...হুমম বল ...I LOVE U ধুর এইটা পুরান স্টাইল ।Do u love mee ??নাহ এইটাও হবে না ।Will u mary mee???হুমম এইটা হবে । আরও কিছু বল ..তুমি কী আমার Baby-র আম্মু হবে??শয়তান তোরে আজ আমি খাইছি ।তাহলে আমি দৌড় দিলাম ।
ঐ দাড়াও বলছি...তাহলে মারবে নাতো ??নাহ মারবো না আমার কাছে আসো হুমম আসছি । হাত ধরো না পারবো না কেন লাগবে না ??না লাগবে না তাহলে আমি গেলাম ।
এই আমার লাগবে তো...কী??তোমার হাতটা ...আগে বল হাতটা কখনও ছেড়ে দিবে
না??তুমি চাইলেও ছেড়ে দিব না ...সত্যি??হুমম সত্যি . চল সামনে হাঁটি না যাবো না
কেন ??-আমি তোমায় প্রপোজ করছি ,তুমি তো এখনও কর নাই ।ঠিক আছে তাহলে বলেই দি...হুমম বল আমাকে তোমার Baby-র আম্মু বানাবে???বলেই একটা ছোট্ট করে হাসি দিল আমার নীল পরীটা ।দুজনে হাত ধরে হাটতে থাকলাম ।হঠাত্ করে আমার নীল পরীটাআমাকে বলল,একটা গান শোনাও ...পারবো না...তাহলে আমি গেলাম ।ধুর তুমি শুধু কথায় কথায় চলে যাওয়ার হুমকি দাও । তুমি চলে গেলে আমার
কী হবে?? এই পাগলী কী হয়েছে কাঁদছো কেন??পাগলীটা বলল আমি তোমাকে ছেড়ে কখনও যাবো না, বলে আমাকে জড়িয়ে ধরল ।আমার মনে হল পূথিবীতে আমার থেকে সুখী মানুষ আর কেউ নেই।চল হাঁটি...হুম চল গান শুনবে??হুম বল.....তোমারই জন্য গেয়েছি আমার এ গান...নিয়ে নাও ভালবাসার উপহার...মায়াবি পথে হেঁটে যাবো দুজনে....তোমার গানে গাইবো গুন্জনে...ও ও ও...ঐই চাঁদকে বলি তোর কেন এত
অহংকার...তুই ছাড়া কী এই পূথিবী আঁধার...কেউ কী আছে তোকে ভালবাসার যার ভালবাসায় সরে যাবে আঁধার............।।।

Friday, December 11, 2015

জ্যোৎস্নার নির্মল আলোতে পুরো জগৎ যেন সাঁতার কাটছে। চাঁদের এই রুপোলী-স্নিগ্ধ আলোতে রাতের
পৃথিবী অন্য সাঁজ ধারণ করে।রাতের এই রুপ অয়নকে সম্মোহিতের মত টানে।প্রায় প্রত্যেক জ্যোৎস্নার রাতেই এদিকটাতে হাঁটতে আসে সে। যদিও আজ আসার পেছনে একটা বিশেষ কারন আছে। আজ তার মন অনেক খারাপ। তার বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে আজ তার ভালোবাসার মানুষটি অন্য এক পুরুষের হাত ধরেছে। অয়ন তো কখনো কোন কপটতা করেনি।সবসময় তার অবস্থান থেকে ছিলো সৎ। তাহলে তার সাথে কেন এমনটি হলো? এসব ভাবতে ভাবতে হাটছিলো সে। রাতের নিস্তব্ধতা কেমন যেন এক রহস্যময় আবরণ সৃষ্টি করছে চারপাশে। সে আবরণ যেন অয়নকেও ঘিরে ফেলছে। নিকোটিনের স্বাদ গ্রহনে পিপাসু হয়ে উঠছে ফুসফুস। অয়ন বুক পকেট থেকে একটি সিগারেট বের করে বারুদের নির্মম ঘষায় ওটার উপরিভাগে আগুন ধরালো।সিগারেটের প্রতিটি টানে যেন একাকীত্বের স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে
সে। আনমনা মন আরো বেশি আনমনা হয়ে পড়ছে।-এই তোমার ম্যাচ টা একটু দেও তো।দাঁড়িয়ে পড়লো সে। ঘুরে তাকালো। মধ্যবয়স্ক এক লোক দাঁড়িয়ে তার একদম কাছেই। বুঝতে পারলো সে আসলেই বেশি আনমনা হয়ে পড়েছিলো। জ্যোৎস্নার আলোতেও লোকটির মুখাবয়ব ভালো বোঝা যাচ্ছিলো না।ম্যাচটি হাতে দিতেই দক্ষ হাতে সিগারেট ধরিয়ে ফেললো সে।তারপর হাঁটতে শুরু করে সে বললো-থেমে পড়লে কেন? আর হাঁটবে না?হুম। হাঁটবো।হাঁটতে লাগলো ২ জন। লোকটির হাঁটার গতি কম। কিন্তু সে এখনো
অয়নের আগে আগেই হাটছে।লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে।কিন্তু কেন যেন লোকটি সম্পর্কে কিছুই জানতে ইচ্ছে করছে না অয়নের। এই নির্লিপ্ততা স্বভাবগত না, পরিবেশগত। লোকটিই নিস্তব্ধতা ভেঙে বলে উঠলো--সিগারেটের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে সে নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যকে আনন্দ দেয়, যা অন্য কোন কিছু থেকেই পাওয়া যায় না।-হুম।-আমি শুধু নিকোটিনের স্বাদ পাবার জন্য সিগারেট খাইনা।
নিজের স্বার্থপরতার বৈশিষ্টটিকে বদলে ফেলার জন্য খাই।-হুম।-তুমি কি হুম ছাড়া আর কিছু বলতে
পারো না!!!-হুম। ওহহ সত্যি আমি দুঃখিত। আসলে আমি একটু অন্যমনষ্ক ছিলাম।-এটা যদি একটু অন্যমনষ্কতা হয়,তাহলে বেশি অন্যমনষ্কতা কি???আসলে, একটু বেশিই অন্যমনষ্ক ছিলাম।-তা তোমার বেশি অন্যমনষ্ক থাকার কারণটা কি বলে ফেলো?অয়ন প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে সব খুলে বললো। সব শুনে লোকটি বললো -তুমি কি মনে করো সেও তোমার কথা ভেবে এরকম আনমনা হয়ে আছে? সে তার পুরো মনোযোগ দিয়ে এতক্ষনে তার কপট ভালোবাসার জালে ফেলা নতুন সেই পুরুষের সাথে কথা বলছে।-কিন্তু সে তো আবার ফিরেও আসতে পারে। আমি অপেক্ষা করবো।-যদি সে ফিরে আসার হতো তাহলে সে চলে যেত না। আর মানুষকে একবারেই চিনতে হয়। বারেবারে না।-কিন্তু আমি যে ওকে অনেক
ভালবাসতাম।-কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালবাসতে শেখো।কারণ ভালোবাসা অনুভূতিটা হৃদয় থেকে আসে, হৃদয়হীনা কোন নারীর জন্য নিজের হৃদয়ের এই বিশেষ অনুভূতিটির অপব্যাবহার করোনা।লোকটার কথাগুলো জমাট বাধা কষ্ট যেন হালকা করে দিচ্ছিলো।আর কিছু ভূল ভেঙে দিচ্ছিলো যা ভাঙ্গা খুবই দরকার ছিলো। তবে লোকটার কথাগুলো যেন শুরু থেকেই কেমন পরিচিত মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো আগে এরকম কথা শুনেছি কোথাও।সে মাথা নিচু করে চিন্তা করতে করতে হঠাৎই বুঝতে পারলো। আবছা অবয়বের আড়ালে রহস্যময়ী আচরণের মানুষটি হুমায়ুন স্যার ছাড়া আর কেউ নন।সে সাথে সাথে মাথা তুলে তাকালো।কিন্তু কোথায় কে?? সামনে তাকিয়ে দেখলো রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোর মাঝে সে একা দাঁড়িয়ে। আর তার ঠিক সামনে তার বাসার সবুজ রঙের গেটটি দেখা যাচ্ছে। ঘুরতে ঘুরতে কখন নিজের বাসার সামনে চলে এসেছে এটা সে বুঝতেই পারেনি,তবে সে বুঝতে পেরেছে তার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়।অয়ন গেট দিয়ে ঘরে ঢুকছে আর ভাবছে, সে কি আসলেই হুমায়ূন স্যারের দেখা পেয়েছিলো?নাকি সবই ছিলো তার কল্পনা??

"অভিমানের অন্তরালে"


-নিশি. .নিশি. .একবার বাইরে আয়।দেখ কী সুন্দর চাঁদ।ছাদে গেলাম।বাবা দাঁড়িয়ে আছেন ছাদের রেলিং এর পাশে।চাঁদটা সত্যি বেশ সুন্দর।জ্যোছনা রাত আজ।ওবাড়িতে থাকলে অর্ণব আর আমি ওদের ছাদে চিলেকোঠার ঘরটায় থেকে জ্যোছনা দেখেই রাত পার করে দিতাম।বিয়ের পর কত হয়েছে এমন!গান শোনাবার জন্য জিদ ধরে বসত সে. .এখন হয়ত তার ওই সময়টাও হবে না.ব্যস্ততা ফেলে চাঁদ দেখার অবসর তার হবেই না. .বাবার সামনে দীর্ঘশ্বাস গোপন করলাম -নিশি মা!বল বাবা।তোর কী মন খারাপ?নাতো বাবা।কেন?না,মানে কাল হঠাৎ একা কিছু নাজানিয়ে চলে এলি। জামাইয়ের সাথে কোন ঝামেলা.কেন বাবা?আমার ইচ্ছে হলে আমি বুঝি এবাড়ি আসতে পারি না?কিছু হয়নি বাবা।আমি বেশ আছি।তোমাকে,মাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছিল তো.নিশ্চয়ই আসবি।তুই এসেছিস বলেই তো তোর মায়ের সাথে আমার ঝগড়াটা মিটমাট হল।হাহাহা।শোন মামণি,সংসার করতে গেলে এসব মনোমালিন্য হয়ই।তা বলে কী কেউ সংসার করে না?এসব কোন বিষয় না।এসেছিস খুব ভাল করেছিস।তোর মনটাও ভাল থাকবে।তবে এখন একটা আর্জি রাখ তো বাবার।আর্জি?কী ??'চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে' গানটা গেয়ে শোনা।কতদিন গান শোনা হয় না তোর।বাবার জোরাজুরিতে গাইলাম গানটা।বাবা খুব রবীন্দ্রসংগীত ভালবাসেন।অর্ণবও তাই।কলেজে থাকতে প্রায়ই বলতো,'ভাবনা কাহারে বলে' গানটা গেয়ে শোনাতে.বাবার ধারণা মিথ্যে না।প্রায় ঝগড়া করেই চলে এলাম এবাড়িতে।অর্ণবটা কেমন পাল্টে গেছে।একসাথেই মেডিকেলে পড়তাম।থার্ড ইয়ার থেকে প্রেম।আমাকে রাজি করাবার জন্য কী পাগলামিটাই না করল সে।হোস্টেলের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকত একবার আমাকে দেখবে বলে,পড়ায় ফাঁকি দিত,পরীক্ষায় বসতে চাইত না।কবিতা আর গানে দুজনেরই রুচি একই ছিল।এসব নিয়ে কত আড্ডা,কত কবিতা একসাথে করতাম,কত গান গেয়ে শোনাতাম ওকে.ফাইনাল পরীক্ষার সময় দিনরাত লাইব্রেরীতে বসে ওকে পড়াতাম।পাশ করার পর বাড়িতে ওর কথা বলার পর প্রথম প্রথম কেউ রাজি হলেন না।কারণ তখন আমরা মাত্র ইন্টার্নশিপ শেষ করেছি।ওর চাকরী নেই। নিজেদের পড়ার খরচই চালাতে হিমসিম খাব,সে আমার দায়িত্ব কী করে নেবে!ভাইয়াও খুব রাগারাগি
করছিল।যেদিন বাবা বললেন,তুই তাহলে একটা কথা বলে আশ্বস্ত কর
আমাকে।তুই কী বিশ্বাস করিস,ছেলেটার সাথে তুই ভাল থাকবি?আমি এক মুহূর্তও না ভেবে বলেছিলাম,হ্যাঁ বাবা,তোমরা দেখো,আমি ওর সাথে ভাল থাকব বাবা।সে আমাকে
অনেক ভালবাসে।বাবা তখনই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।অর্ণবদের বাসায়ও কোন সমস্যা ছিল না।কিন্তু বিয়ের মাস খানেক পরই অর্ণবকে আমার খুব অচেনা লাগতে থাকে।সেই রোজকার মত দিন কাটে আমাদের।নতুন কোর্সে ঢুকে সেও ব্যস্ত থাকে।আমিও।তবু ঘরে ফিরে ভালমত কথাই হয় না আমাদের।আমিও তো টায়ার্ড থাকি।তাই বলে একদম কথাবার্তা বলা যাবে না?এসেই কী ঘুম দেয় সে!পরদিন সকালে আবার সেই রুটিন।কতদিন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় না,চা খেতে খেতে আড্ডা দেয়া হয় না,ছাদে গিয়ে একের পর এক গান শোনা হয় না. .কতদিন.অর্ণব,তুমি কত বদলে গেছ!একবছর হয়ে গেছে বিয়ের।প্রায়ই এবাড়ি আসা হয়।অর্ণবই এতদিন নিয়ে আসত।আর গতকাল সকালে ওকে বললাম,ভাল লাগছে না।একবার বাবা-মা কে দেখে আসতে ইচ্ছে করছে।তুমি কী যাবে আমার সাথে?কবে?আজ?না না।আজ কী করে সম্ভব?আজকে একটা সেমিনার এটেন্ড করতে হবে খুব ইম্পরট্যান্ট।তোমাকে সেদিন বললাম না.হুম আচ্ছা।আমি একাই চলে যাব।ব্যস।সে বেরিয়ে গেল।আগে কোথাও একা ছাড়ত না। আর এখন তার আমার সাথে থাকার ফুরসতই নেই।ভীষণ রাগ হল আমার।একটা ফোনও করল না।যাব না আর।এখানেই থাকব।ঘরে ফিরে দেখি একটা মেসেজ,"চাঁদটা দেখেছ,নিশি?কী সুন্দর!তোমার গান শুনতে ইচ্ছে করছে খুব।কখন আসবে?তাড়াতাড়ি চলে আস।ঘরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।"রাগে অভিমানে চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে!যাব না আমি তোমার কাছে।তুমি থাক তোমার ব্যস্ততা নিয়ে।ইশ!এতক্ষণে মনে পড়ল তোমার,না?যাব না আমি।কলিং বেলের আওয়াজ হচ্ছিল।বাবা গিয়ে দরজা খুলে দিলেন।ঘরে বসে রইলাম।বের হয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে না।হবে কেউ একজন।একা বসে বসে অর্ণবের মেসেজটার দিকে তাকিয়ে আছি।একবার তো উঠে গিয়ে দেখলেও না কে এল!অর্ণবের গলা শুনে চমকে ফিরলাম।একী তুমি এতরাতে!!আমার বউয়ের কাছে আমি যখন ইচ্ছে চলে আসব।তোমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে নাকি?নাহ।আমায় যেন খুব জিজ্ঞেস করা হয় সবকিছুতে?কোন দরকার থাকলে ফোন করলেই পারতে।আসার কী দরকার ছিল?একটা দরকার যে ছিল.কী?হাতের ব্যাগ থেকে দুই জোড়া মোজা বের করল সে।দেখো তো মাপটা ঠিক আছে কি না?মেয়ে হলে এই পিংক কালারেরটা।আর ছেলে হলে এই ব্লু কালারেরটা।ঠিক আছে?আমি অবাক হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে রইলাম।বুঝতে সময় লাগছে আসলে কী হচ্ছে।সে এসে আমার কপালে চুমু খেয়ে
আমাকে বুকে টেনে নিল।তারপর বলল,সকালে প্রেগিন্যান্সি টেস্টের জন্যে গিয়েছিলে না?রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।ভাবলাম ওর এই পৃথিবীতে আসতে আসতে খুব শীত পড়ে যাবে।তাই মোজা নিয়ে আসলাম।ঠিক করি নি?আমি ওকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম।এত সুখ আমার কপালে ছিল!!সত্যি আমার মধ্যে অন্য একটা প্রাণ!নিষ্পাপ একটা শিশু আমাকে 'মা' বলে ডাকবে সত্যি!আমি 'মা' হব!মাঝে মাঝে বোধ হয় বদলে যেতে হয়।পুরোনো সুখগুলো নতুনের সাথে বাঁধতে গেলে একটু হয়ত পিছিয়ে যেতে হয়।আর ভালবাসা,সে কী এতই সস্তা যে একটু অভিমানে একেবারে হারিয়ে যাবে।অর্ণব তো পাল্টায় নি।পাল্টেছে আমাদের জীবন।ভালবাসা তো সেই একই আছে।ব্যস্ত সময়গুলো শুধু একটা অভিমানের পর্দা ফেলে দেয় চোখে।আর আমরা গভীরে ভাবতে ভুলে যাই,বাইরেটাই বিশ্বাস করি।নতুন দিনকে,নতুন সুখকে দুজন মিলে ঠিক সাজাব আমাদের জীবনে।রাতে ছাদে গিয়ে জ্যোছনায় ভিজলাম অর্ণবের সাথে।তোমার মনে আছে বিনয় মজুমদারের সেই কবিতাটা,যেটা কলেজের প্রোগ্রামে দুজনে একসাথে করেছিলাম?হ্যাঁ,খুব মনে আছে।আবার দুজনে সেই প্রিয় কবিতা আওড়ালাম," অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে,কাকে বলে নীল-আকাশের হৃদয়ের;কাকে বলে নির্বিকার পাখি।অথবা ফড়িঙ তার স্বচ্ছ ডানা মেলে উড়ে যায়।উড়ে যায় শ্বাস ফেলে যুবকের প্রানের উপরে।আমি রোগে মুগ্ধ হয়ে দৃশ্য দেখি,দেখি জানালায় আকাশের লালা ঝরে বাতাসের আশ্রয়ে আশ্রয়ে।আমি মুগ্ধ; উড়ে গেছ; ফিরে এসো,ফিরে এসো , চাকা,রথ হয়ে, জয় হয়ে, চিরন্তন কাব্য হয়ে এসো।আমরা বিশুদ্ধ দেশে গান হবো, প্রেম হবো, অবয়বহীন সুর হয়ে লিপ্ত হবো পৃথিবীর সব আকাশে। "
তোমাকে আমি বেধে রাখতে পারিনি  আমার সমস্ত ভালবাসা দিয়ে,হয়তো আমার ভালবাসায় পুর্নতা ছিল না যা তোমায় বেধে রাখতে সক্ষম হয়নি,কিন্তু তোমার কাছে ভালবাসার সংগাটা মনে হয় সবার মত না,
তোমার জন্য আমি আমার সাজানো জিবনটাকে  আজ এলমেলো করে দিয়েছি, যেদিকে তাকাই শুধু অন্ধকার ছাড়া আর কিছুই নেই,তুমি আমাকে এতটুকু বলতে পারো কতটুকু ভালবাসলে তোমার কাছে ভালবাসার পুর্নতা পাবে ?আমার ভালবাসার টানে তুমি ছুটে আসবে ?জানি এ উত্তর তোমার কাছে নেই,
ভালবাসা কি তুমি বুঝনা,কখনো বুঝবেওনা,এত কিছুর পর ও তোমাকে ভালবেসে যাই অনন্তকাল থেকে অনন্ত কাল ধরে,জানি তুমি ফিরে আসবেনা তা জেনেও,এটাই ভালবাসা যা পাওয়ার আশা না করে শুধু ভালবাসা যায়,ভাল থেকো তুমি আমার সবটুকু ভালবাসা নিয়ে,বড় একা আমি,, নিজের ছায়ার মত.................!!!
পৃথিবীতে সবাই তো সবকিছু পায় না,তেমনি আমিও পেলাম না তোমাকে,তবে কোনো দিন ভাবিনি তুমি আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে,ভাবিনি বিশ্বাস ভেঙ্গে দেবে এই ভাবে,কারন তোমাকে আমি অনেক অনেক বিশ্বাস করতাম,তোমাকে ভালবাসতাম অনেক,এখনো ভালোবাসি,আর এই ভালোবাসা মরনের আগ পর্যন্ত থাকবে,এক বিন্দুময় কমবে না।

●●●●●●●▬▬▬▬▬▬ஜ۩۞۩ஜ▬▬▬▬▬●●●●●●●

দিন শেষে রাত্রি আসে, কত না কথা কত না স্মৃতি মনের মাঝে খেলা করে, ভালো আছি ভালো থেকো সর্বদা সবাইকে ভালো রাখো, সবাই ভালো থাকুন এই প্রার্থনা শুভরাত্রি।
এই পৃথিবীতে প্রিয় মানুষ গুলোকে ছাড়া বেঁচে থাকাটা কষ্টকর কিন্তু অসম্ভব কিছু নয়।কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না, জীবন তার মতই প্রবাহিত হবে।তাই যেটা ছিল না সেটা না পাওয়ায় থাক, সব
পেয়ে গেলে জীবনটাও একঘেয়েমি হয়ে যায়।মনে রেখো পৃথিবীর সকল কষ্টই ক্ষণস্থায়ী !!
🍂জীবন টাকে আজও বুঝতে পারলাম না...নিজের অজান্তেই এমন কিছু ভুল হয়ে যায়...যা থেকে নিজেকে ফিরানো বড় দায়..না পারি সামনে যেতে, না পারি ফিরে আসতে না পরি সহ্য করতে, না পারি ভুলে যেতে.......!!!
々↓↓◕▬▬▬▬▬▬▬▬▬❋💚❋▬▬▬▬▬▬▬▬▬◕↓↓々
প্রতিটি মানুষের জীবনে কেউ না কেউ আসে,আমার জীবনেও তুমি এসেছিলে,আবার চলেও গেলে,কিন্তু সঠিক ভাবে যেতে পারনি,কারন তুমি শারীরিক ভাবে গেছো, মানসিক ভাবে যেতে পারনি,তোমার মনের কোনো এক জায়গাতে আমি আছি থাকবো,আর তোমার সমস্ত সৃতি আমার এই মন জুড়ে আছে,কখনো হারিয়ে যাবেনা,যতই দূরে হারিয়ে যাওয় তুমি সঙ্গে কেড়ে নিয়ে যেতে পারবেনা তোমার সাথে কাটানো সময়ের সৃতি গুলো,আর সেই সৃতি গুলোই আমার একমাত্র ভালোবাসা,যা চাইলেই কখনো তুমি ছিনিয়ে নিতে পারবেনা, যতই চেষ্টা করো....!!!
আমি হতে আমাতেই, আমাকেই খুজে বেড়াই,
ভাবনার ভাষাতে ভুত-ভবিষ‍্যত ভুলে যাই,
বারে বারে ভিন্ন বয়স-সন্ধির বাস্তবতায়,
কখনও কিছু কিছু কল্পনার কাহিনী সাজাই,
সপ্নের সীমারেখায়, সন্তরপন যাত্রায়,
এইতো এই আমি আমাকেই খুজে পাই!!!

Thursday, December 10, 2015

প্রিয়তমেষু,

 


কেমন আছো তুমি?? ভালো তো? আমি ভালো নেই।তোমার জন্য হাজারটা স্বপ্নের জাল বুনতে বুনতে আজ আমি ভীষণ ক্লান্ত।অনেক ক্লান্ত হয়ে বুঝতে পেরেছি, ভালবাসা মানে স্বপ্ন দেখা নয়, অনেকটা চাওয়া-পাওয়া, হাসি-কান্না, অভিমান, প্রতীক্ষা আর ১+১=২ এই সহজ অংক মেলানোর সবচেয়ে কঠিন চেষ্টা।
জানি তুমি আমায় ভালোবাসোনা তাই দূরে সরে যাচ্ছি।কিন্তু আমি কাপুরুষ নই। আমি স্বেচ্ছায় নির্বাসন নিতে জানি।তাতে আর যাই হোক ভালোবাসার একটু মান তো পাওয়া যাবে।তবে কখনো এই ভেবে কেঁদোনা যে, কেউ তোমাকে ভালোবাসেনি,কেউ তোমার জন্য কাঁদেনি।আমি তোমাকে ভালোবেসেছি, আমি তোমার জন্য কেঁদেছি।হয়তো তোমার মনের মত করে নয়। আমার মত, নিখুঁতভাবে।জানো____ ??কোন এক সময় শুধুই তোমাকে নিয়ে আমার সকল স্বপ্ন-আশা, চাওয়া-পাওয়া ছিল।বলতে পারো, তুমি ছিলে আমার দ্বিতীয় রংধনু।ভাবছো কথাগুলো আমার মুখের কথা......... ???হ্যাঁ তা তুমি ভাবতেই পারো।কারণ তুমি কখনো জানতে চেষ্টা করনি যে, তোমাকে আমি কতটা ভালোবেসে ছিলাম।কিন্তু এখন ভূলতে চাচ্ছি, শুধু মুক্তি নিতে চাচ্ছি এই না পাওয়া ভালোবাসা থেকে। হঠাৎ করে বদলে গেছি আমি, তাইতো তোমার জন্য আর অপেক্ষায় থাকবো না, তোমার জন্য হৃদয়ে ভালোবাসা না রাখার চেষ্টা করছি।যেটুকু ভালোবাসা আছে তার কারণে তোমার খোঁজ খবর রাখা, কল করে বিরক্ত করা আর চাই না কোন এক পথের বাঁকে তোমার সাথে আমার দেখা হোক।তবে আমি ঐ দিনটার অপেক্ষায় আছি,যেদিন না পাওয়া ভালোবাসার কষ্টে তুমিও কাঁদবে।হয়তো আমি ঐ দিন মনের অজান্তেই হেসে উঠবো।

শূনতার ডায়েরি - ৪





হঠাৎ করেই খেয়াল করলাম আজকাল আমি আর শ্রাবণ একে অপরের সাথে খুব কম কথা বলছি। সেই সকালে দুজনেই একসাথে বের হই অফিসের উদ্দেশ্যে, তারপর বাসায় ফেরা, রান্না খাওয়া আর টিভি দেখতে দেখতে ঘুমের প্রস্তুতি। তারপর ? আমি সেই তারপরের অবস্থাটা ভাবছি। কেন দুজনে চুপচাপ হয়ে গেছি বা যাচ্ছি? কাজ থেকে ফিরে ক্লান্তি ভর করে বলে? নাকি বৈচিত্র্য কমে যাচ্ছে আমাদের জীবনে না আমাদের বয়স একটু একটু করে বাড়ছে বলে! আমার মনে হয় শ্রাবণের সাথে এটা নিয়ে কথা বলা দরকার। ওর অভ্যাসই হলো বিছানায় শোবার কিছুক্ষণের মাঝে ঘুমিয়ে পড়া। আগে ভীষণ মেজাজ খারাপ হতো আমাকে রেখে ঘুমিয়ে যেতো বলে। মনও খারাপ লাগতো। এখনও খারাপ লাগে তবে ওকে কিছু বলি না। ও আমাকে আরো রাগাবার জন্য বলে -শোনো আমি হলাম আল্লাহর নিরীহ বান্দা। শুলেই ঘুম চলে আসে। তুমি মাইন্ড সেট আপ করেই নিছ তোমার ঘুম আসবে না। তুমি ইনসমনিয়াক এটা ভুলতে পারলেই দেখবা তোমারও ঘুম আসছে। আর আমার সাথে থাকার পরেও তোমার ঘুম না আসলে আমি এখন কি করব বলো! কি আবার করবা ,আমার সাথে সাথে জেগে থাকো!ও রাত বারোটার নিউজ দেখার জন্য বসে আছে। এদিক ওদিক চ্যানেল বারবার ঘোরাচ্ছে। আমার দিকে চোখে চোখ পড়তেই বললাম -চা খাবা?খাওয়ালে খাবো। নিমকি আছে ? থাকলে একটু নিয়ে এসো তো!চা খেলে তোমার আবার ঘুম হাওয়া হয়ে যাবে না তো, দেইখো আরে তোমাদের মত আমার এত নকশা নাই। চা আর ঘুম দুইটা আলাদা আলাদা ব্যাপার। চা খেলে ঘুমানো যায় না কে বলছে!আর কিছু খাইলে বলো একবারে নিয়ে আসি। টিভি দেখতে দেখতে খাই তারপর একটা মুভি দেখি। চলো এক কাজ করি, আজকে সারা রাত জাগি।কাল অফিস যাবে না?নাহ্ , কাল অফিস বাদ। যাবো না। আমি আর কাল থেকে চাকরি বাকরি করবো না।সব বাদ! বলে আমি ওর কোলের উপর মাথা রেখে কিছুক্ষণ পড়ে থাকি। ও আমার চুলে হাত বুলায়। জিজ্ঞেস করে -তুমি ঠিক আছো তো?আমি ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। বলি - আমি ঠিক নাই। দাঁড়াও চা নিয়ে আসি। খেতে খেতে কথা বলি।আমি চা বানাবার জন্য রান্নাঘরে যাই ঠিকই কিন্তু রান্নাঘরে ঢোকার পরে মনে হয় আরেক পশলা ক্লান্তি চেপে ধরে। মনে হয় শ্রাবণকেই ডেকে বলি চা বানাতে। ডাকলে মানা করবে না কিন্তু সব শিখিয়ে দিতে হবে। ও বলেছিল একদিন নাকি আমাকে ডিম ভাজা আর ডাল ভুনা খাওয়াবে সাথে মাছের ফ্রাই। কবে ঐ দিন আসবে অপেক্ষায় আছি।চা নিয়ে শোবার ঘরে গিয়ে দেখি ডিসকভারির কোনো প্রোগ্রামে মশগুল হয়ে আছে। ওর পাশে গিয়ে বসতেই জিজ্ঞেস করলো -এইবার বলো কি নিয়ে তোমার মন খারাপ।শ্রাবণ, তোমার কি মনে হয় না আজকাল আমরা একে অপরের সাথে কম কথা বলছি, রুটিন ওয়ার্ক করছি ?না, আমার এমন মনে হয় না। সবই তো স্বাভাবিক লাগছে। টিভির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে বলে।আমি টেনে ওর মুখটা আমার দিকে ঘোরাই। এট লিস্ট এখন আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলো প্লিজ, ওকে বলি।কি ব্যাপার, তুমি এমন সিরিয়াস হয়ে আছো কেন নবনীতা? তুমি আসলে বেশি বেশি ভাবো তাই এমন লাগে। যে কোনো জিনিসের বেশি ডিপে তুমি ঢুকে যাও। আর তোমার কি এসব নিয়ে মন খারাপ ?নাহ্। আজকে কেন যেন মনে হলো আমরা বাসায় ফেরার পর কেমন শব্দহীনতায় ভুগি। আমাদের বাসায় শব্দের অভাব। আচ্ছা, তোমার কি পুলকের কথা মনে আছে?কোন পুলক? তোমার ফার্স্ট লাভ? বাহ্ বাহ্ রোম্যান্টিক নস্টালজিয়ায় ভুগছো নাকি আজকে?আমি চুপ করে থাকি। চামচ দিয়ে অকারণেই চায়ের কাপে নাড়াতে থাকি। বলি - আজকে সন্ধ্যায় শুনলাম ও আজ বিকেলে মারা গেছে। বউ, বাচ্চাসহ গ্রামের বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে বাড়ি ফিরছিলো তারপর ত্রিশালে এসে বাসের সাথে ওদের প্রাইভেট কারের ধাক্কা লেগে পুলক, ওর মেয়েটা স্পট ডেড আর ওর বউ মারাত্মক ইঞ্জিউরড।হায় হায় বলো কি! শ্রাবণ আমার কাছে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরে রাখে।আমার ভেতরের কি রকম একটা ফাঁকা অনুভূতি ফুলে ফেঁপে বড় হতে থাকে। আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে। শ্রাবণ আমার চুলে হাত বুলাতে থাকে। বলে, তোমার কি পুলকের কথা আরো বলতে ইচ্ছে করছে? তাহলে বলো ওর কথা, শুনি।ও আমাকে ঝিনুক নামে ডাকতো। চিঠিতেও লিখত এই নামে।সামনাসামনি দেখা হলে চিঠি দিতে নাকি পোস্ট করতে? ধরা পরো নাই চিঠি নিয়ে কখনো ?সামনাসামনিও চিঠি দিতাম, পোস্টেও। আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি আমার এক আত্মীয়র সাথে ও আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলো। সময়টা দুপুর। আমি অংক করছিলাম। ও আমার খাতাটা টেনে নিয়ে বলেছিল -দেখি তো কি অংক করছ! একটু পরে বললো - অংকের রেজাল্ট মিলেছে কিন্তু মাঝখানে তো গোঁজামিল দিয়েছ। আসো তোমাকে অংক শিখিয়ে দেই। ও তখন মেডিক্যাল ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট। ওর কথা শুনে তো আমার মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেলো। আমি বললাম -আপনি আমার সাথে আর কথা বলবেন না। আমি এখন টিচারের কাছে পড়তে যাবো। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে যেন দেখি আপনি চলে গেছেন।আমার কথা শুনে পুলক খুব হাসছিলো। আর আমি আরো রেগে যাচ্ছিলাম। এরপর তার কথা আর মনেই নাই। বাসার কাছাকাছি এসে সন্ধ্যায় মনে পড়লো তার কথা। এসে দেখি সে আর বাসায় নাই। কিছুক্ষণ পর আমার চাচীর ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখি ওখানে আমার আত্মীয়ের সাথে বসে বসে আড্ডা দিচ্ছে। আমাকে দেখেই জিজ্ঞেস করলো -হোম ওয়ার্ক এর গোঁজামিল অংক দেখে তোমার টিচার প্যাঁদানি দেয়নি ? বলেই সেই গা জ্বালানো হাসি হাসতে লাগলো ।আমি তার কথা শুনে আচমকা কেঁদে ফেলে রেগেমেগে ওখান থেকে চলে আসি। আমি সেদিন সত্যিই টিচারের কাছে মার খেয়েছিলাম ভুল অংকের জন্য কিন্তু সেটা তো তাকে বলতে পারি না।এরপর ?যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন সে আমাকে প্রপোজ করে।তারপর?তারপর আর কি! কিছু না। বাদ দাও।তারপর?ধুর এর পরের সব তো তুমি জানোই! মোট কথা আমাদের রিলেশনটা ক্লিক করে নাই। আমিও ছোট ছিলাম ও নিজেও স্টুডেন্ট, বাড়ি বিক্রি করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলে যাওয়া ইত্যাদি অনেক অনেক কারণের সাথে যারা আমাদের এই রিলেশনে হেল্প করতো তারাই পিঞ্চিং করে করে আরো দূরে সরাইয়া দিছিলো আমাদের। আমাকে ও চাইলে যেমন খুঁজে বের করতে পারতো আর আমার কাছে তো ওর নাম্বার ছিলই।তাহলে যোগাযোগটা রাখলা না কেন!কি জানি হয়ে ওঠে নাই। তবে অনেক বছর পর বেইলি রোডে একবার দেখা হইছিল,কয়েকদিন ফোনে যোগাযোগও ছিল। বলেছিল বিয়ের জন্য ওর বাসা থেকে মেয়ে দেখতেছে। আর এসব তো তোমাকে সব বলছিই আমি। কিন্তু খুব অপরাধী লাগতেছে নিজেকে, বুঝলা?কেন? তুমি কেন অপরাধী হবা! শ্রাবণ টিভির সুইচ অফ করে এবার আমার দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়।প্রায় বারো বছরেরও বেশি সময় ওর সাথে আমার যোগাযোগ নেই। আমাদের রিলেশন খারাপভাবে শেষও হয় নাই। আনুষ্ঠানিক বিদায়, মনোমালিন্য কিছুই হয় নাই জাস্ট সময়ের কাছ থেকে ছিটকে গেছিলাম। কিন্তু ও তো আমার আশেপাশেই ছিল। আমার অনেক পরিচিত মানুষদের সাথেও ওর ওঠাবসা ছিল, আমার কাছে ওর নাম্বার ছিল, আমার ফ্রেন্ডদের কলিগ ছিল অথচ আমি যোগাযোগ করি নাই। ফেসবুকে আইডি সার্চ দিলেই ওকে পেতাম!একবার ভাবো তো নবনীতা, আমি যদি আমার প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে যোগাযোগ করি তোমার ভাল লাগবে? আমি তো চাইলেই ওদের বাসায় যেতে পারি। কিন্তু এইরকম হরদম বা মাঝে মাঝেও যদি যোগাযোগ করতাম তোমার কি ভালো লাগতো? নিশ্চয়ই লাগতো না। আমি বুঝতে পারছি তোমার কেন খারাপ লাগছে। আসলে মৃত্যু এমন একটা ব্যাপার যে একজন মানুষের গুরুত্ব, হিসাবনিকাশ সবকিছু সাথে সাথে বদলে যায়।হুম এটাও ঠিক। আসলে আমি তোমাকে নিয়ে এতোটাই ব্যস্ত ছিলাম আর আমাদের দুজনের লাইফের এতো ঘটনাবহুল পরিস্থিতি পার করে করে আজকের এই অবস্থায় আসছি আমার আসলে পুলকের ব্যাপারটা মাথা থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু যে একটা সময় আমার আত্মার অংশ ছিল সে মানুষটা এখন মাটির নিচে শুয়ে আছে যেখান থেকে ফিরে আসার চান্স নেই!খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। তুমি চাইলে আমরা ওর গ্রামের বাড়ি গিয়ে ওর কবর যিয়ারত করে আসতে পারি।শ্রাবণের কথা শুনে আমার একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে। বলি নাহ্ থাক। দরকার নাই।লাইট অফ করে আমরা পাশাপাশি শুয়ে থাকি। আমার চুলে হাত বুলাতে বুলাতে কিছুক্ষণের মাঝেই শ্রাবণ ঘুমিয়ে পড়ে। বুকের ভেতরে একটা ফাঁকা অনুভূতি নিয়ে আমিও ঘুমের কোলে ঢলে পড়ার অপেক্ষায় থাকি।
চলবে................!!!

লেখক- শুভ্র সকাল

মেঘ পিয়নের ব্যাগের ভেতর মন খারাপের দিস্তা মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়,ব্যাকুল হলে তিস্তা।মন খারাপের খবর আসে মন খারাপের খবর আসে বন পাহাড়ের দেশে চৌকোনো সব বাক্সে যেথায় যেমন থাকসে মন খারাপের খবর পড়ে দাড়ুন ভালবেসে।মেঘের ব্যাগের ভেতর ম্যাপ রয়েছে মেঘ পিওনের পাড়ি
পাকদন্ডী পথ বেয়ে তার বাগান ঘেরা বাড়ী।বাগান শেষে সদর দুয়ার,বারান্দাতে আরাম চেয়ার গালচে পাতা বিছানাতে ছোট্ট রোদের ফালি সেথায় এসে মেঘ পিয়নের সমস্ত ব্যাগ খালি।দেয়াল জুড়ে ছোট্ট রোদের ছায়া বিশালকায় নিস্পলকে ব্যাকুল চোখে তাকিয়ে আছে ঠায় কিসের অপেক্ষায় রোদের ছুড়ি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত রোদের বুকের ভেতর ক্ষত রোদের ছুড়ি ছায়ার শরীর কাটছে অবিরত রোদের বুকের ভেতর ক্ষত সেই বুকের থেকে টুকটুক টুক নীল কুয়াশা ঝরে আর মন খারাপের খবর আসে আকাশে মেঘ করে।সারা আকাশ জুড়ে।মেঘের দেশে রোদের বাড়ী পাহাড় কিনারায় যদি মেঘ পিয়নের ডাকে সেই ছায়ার হদিস থাকে রোদের ফালি তাকিয়ে থাকে আকুল আকাঙ্খায় কবে মেঘের পিঠে আসবে খবর বাড়ীর বারান্দায় ছোট্ট বাগানটায়।

Saturday, December 5, 2015

সোনালী ভালোবাসার গল্প

লেখকঃ শুভ্র সকাল     


                                              ২য় -পর্ব   



উসা  ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলোএইদিকে লাবণ্যেরও ড্রাগের প্রতি আসিক্ততা দিন দিন বেড়ে যেতে লাগলো,একদিন লাবণ্যের সাথে তপু ইসলাম নামের একজন লোকের পরিচয় হলোতপু ইসলাম বাঙালি কিন্তু তার সকল ব্যবসা দুবাইতে তিনি অনেক ধনী লোকপ্রতি মাসের ১৫দিন বাংলাদেশে থাকেন আর বাকি সময়টা দুবাইতেপ্রতি মাসে বাংলাদেশে আসার পিছনে বড় কারণটা হলো তার মা এখানে থাকে তাই তিনি মাসের ১৫দিন বাংলাদেশ এই থাকেতপু সাথে লাবণ্যের পরিচয় হয় লাবণ্যের বান্ধুবির বার্থডে পার্টিতেতপু হলো লাবণ্যের বান্ধুবির কাজিনএত সুন্দর একটা মেয়েকে অনবরত ড্রাগ নিতে দেখে তপুর অনেক খারাপ ও মায়ার সৃষ্টি হয়,সে তার কাজিনের কাছে জানতে চায় কেন ও কিভাবে লাবণ্যের এই আবস্থা হলোতপুর প্রশ্নের উত্তরে তার কাজিন তপুকে লাবণ্যের জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনী শুনায়পুরো কাহিনী শুনার পর তপু চোখে জল এসে যায় এবং সে তার মনে অজান্তে লাবণ্যকে পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলেপার্টি শেষ হয় লাবণ্য Fully drunk এই আবস্থায় সে একা বাসায় যেতে পারবেন না তাই তপু কাজিন ওকে নিয়ে বড় বিপদে পরে যায়,তপু বিদায় নিতে এলে তার কাজিন বিষয়টা তাকে জানায়তপু বলে ঠিক আছে আমি ওকে বাড়ি দিয়ে আসবো এই বলে তপু লাবণ্যকে ধরে তার গাড়িতে উঠালোতপু চাইলে লাবণ্যের মাতাল সময়ের সুযোগ নিতে পারতো,কিন্তু তপু সেই টাইপের ছেলে নাসে গাড়ি চালাবার সময় বার বার লাবণ্যের দিকে তাকাচ্ছিলো আর চিন্তা করছিলো এমন একটা সুন্দর মেয়ে কেন তার জীবনটাকে এইভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে তপু ঠিক করলো আবার লাবণ্যের সাথে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা করবেতপু লাবণ্যকে ঠিক মতো বাড়ি নিয়ে গেলো এবং নিজের বাড়িতে ফিরে এলোতপুও কিছুটা মদ খেয়েছে কিন্তু তারপরও তপুর সারা রাত ঘুম হলো না,সে সারারাত ধুরে লাবণ্যের কথা চিন্তা করতে করতে ভরবেলা ঘুমাতে গেলোঘুম থেকে উঠলো লাবণ্য কাল-রাতে বেশি মদ পান করার ফলে তার অনেক মাথা ব্যেথা করছে,তাই সে কাজের মেয়েটিকে কড়া করে এক কাপ কফি বানিয়ে দেতে বলোলাবণ্য তার মেয়েকে অনেক অনেক ভালোবাসতো কিন্তু তার নেশা জন্য দিন দিন মেয়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলোপ্রতিদিন সকালে সে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতোআজও তাই করলো,কিছুক্ষণ পর লাবণ্যের মনে পড়লো কাল রাতে তো সে অনেক বেশি মাতাল ছিলো তাহলে সে বাসায় কিভাবে আসলো?লাবণ্য তার বান্ধুবিকে ফোন দিলো জানতে যে কে তাকে বাসায় পোঁছে দিয়েছেতার বান্ধুবি তাকে তপুর কথা বলোলাবণ্য ধন্যবাদ জানাবার জন্য তার বান্ধুবি কাছ থাকে তপুর নাম্বার নিলো এবং তপুকে ফোন করলো,ঘুমিয়ে থাকার কারণে তপু ফোন ধরলো নাপরে তপু ঘুম থেকে উঠে অচেনা নাম্বার থেকে আসা ফোন দেখে কল ব্যাক করলো,লাবণ্য ফোন ধরলো,তপু যখন জানতে চাইলো কে বলছেন লাবণ্য বলো আমি লাবণ্যতপু মনে অন্য রকম একটা খুশি দোলা দিলো কিন্তু সে লাবণ্যের কাছে সেটা প্রকাশ করলো না,সে বলো বলেন কি বলবেনলাবণ্য বলো কাল রাতে আমাকে কষ্ট করে বাড়ি পোঁছে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ফোন করেছি,তপু বলো এইভাবে বললে হবে না,লাবণ্য কিছুটা চমকে যেয়ে বলো মানে,তপু বলো আমাকে এক কাপ কফি নিজ হাতে বানিয়ে খাওয়াতে হবে তাহলেই আমি আপনার ধন্যবাদ গ্রহন করবোলাবণ্য হেসে বলো ঠিক আছে সুবিধা মতো এসে খেয়ে যাবেনতপু বলো আমি I’m joking its ok,কিন্তু আমরা বাহিরে কোথাও কফি খেতে পারি লাবণ্য বলো ঠিক আছেসেদিন বিকালে লাবণ্য ও তপু কফি হউজের দেখা করলো,এইভাবে ধীরে ধীরে তপু সাথে লাবণ্যের closeness বাড়তে শুরু করলো,তপু লাবণ্যকে ভালোবাসতে শুরু করলোতপু সবচেয়ে যে জিনিসটা লাবণ্যের ভাল লাগতো তা হলো উসা প্রতি তার অসম্ভব মায়া ও ভালোবাসাধীরে ধীরে লাবণ্য তার সব খারাপ বন্ধুদের থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করলো এবং ড্রাগ নেয়া ছেড়ে দিলো,কিন্তু তপু প্রতি তার মনে ভালোবাসার কথাটা সে তাকে বুঝতে দিলো নাকিছুদিন পর যখন তপুর ভালোবাসা আরও গভীর হয়ে গেলো,তখন তপু এবং লাবণ্য live together করা শুরু করলোতাদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক দুই ধরনের সম্পর্কই অনেক গভীরভাবে চলতে লাগলোএকদিন লাবণ্য সিধান্ত নিলো সে তপুকে বিয়ে করবে এবং তারা নুতুন বাচ্চা নিবে এই কথাটা সে তার বান্ধুবি এবং তপুর কাজিনকে জানালো যে জানতো না তপু এবং লাবণ্য একসাথে থাকেসে শুনে আকাশ থেকে পড়লো এবং লাবণ্যকে তপু আগের হওয়া বিয়ে কথা এবং সে কোনদিন বাবা হতে পারবে না সেই কথা জানালো

Friday, December 4, 2015

অনিশ্চিতের উদ্দেশ্যে

 


 এখন অনেক রাত। মধ্যরাত যদি রাত বারোটাকে বলা হয়, তাহলে মধ্যরাত পেরিয়েছে ১ ঘণ্টা ১৭ মিনিট আগে। অবশ্য দূরের মাজারের মাইকের আওয়াজ এখনও দিনের মতোই স্পষ্ট। বলা যায়, দিনের চেয়ে বেশি স্পষ্ট। বাউলরা মিলে গান ধরেছে। গতকাল উরস ছিল বলে সেই রেশ এখনও কাটেনি। আগে প্রায়ই গভীর রাত পর্যন্ত বাউলদের গান শোনা যেত। আজ অনেকদিন পর সেই অনুভূতিটা ফিরে এলো।এসব বাউলদের গানে বেশিরভাগ কথাই আমি বুঝি না। কিন্তু তাদের যন্ত্র সঙ্গীতে কেমন যেন একটা উদাস করা ভাব আছে। যেই জিনিসটা আগে কোনোদিন করেছে কি না জানিনা, এখন আমার উপর বেশ ভালোই প্রতিক্রিয়া ফেলছে। কাজকর্ম সব বাদ দিয়ে বসে আছি হেলান দিয়ে। গান শুনছি না। গানে কোনো মনোযোগ নেই। কিন্তু তবুও কেমন যেন শূন্য একটা অনুভূতি হচ্ছে।‘শূন্য অনুভূতি।’ শব্দটা একেবারে পারফেক্ট। এখনকার অনুভূতিটা বোঝানোর জন্য এরচেয়ে ভালো কোনো শব্দ হয় না। কিন্তু গত কয়েক মিনিট ধরে আমি চেষ্টা চালাচ্ছি এই শূন্য অনুভূতির কারণ খুঁজে বের করতে। গত ঘণ্টাখানেকে মন খারাপ করে দেয়ার মতো যথেষ্ট কথাবার্তাই হয়েছে। কিন্তু সেসময় তো মন খারাপ লাগেনি। এখন কেন লাগছে? আবার বুঝতেও পারছি না ঠিক কেন এই শূন্য অনুভূতি। ব্যাপারটা কি অনেকটা বাস্তবিক ব্যথা পাওয়ার মতো? যে ব্যথা পাওয়ার সময় টের পাওয়া যায় না, কিন্তু পরে অবস্থা খারাপ হয়ে যায়?জানি না। জানতে ইচ্ছে করছে না। সেদিন রাত দশটায় বেরিয়েছিলাম। দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। খেয়াল করলাম কুয়াশা। কুয়াশা অনেক অনেকদিন পর দেখলাম। গত বছরও বোধহয় কিছুটা শীত পড়েছিলো। সোয়েটার পড়ে কলেজে যাওয়ার কথা মনে আছে। এবার তো প্রায় শীতকাল চলেই গেল। কিন্তু তবুও কুয়াশার দেখা পেয়ে ভালোই লাগলো। ভুলেই গিয়েছিলাম স্মৃতি কেবল বৃষ্টির সঙ্গেই মিশে থাকে না, কুয়াশারও স্মৃতি ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। যেমন তেমন ক্ষমতা নয়, বেশ ভালো ক্ষমতাই।কুয়াশার সঙ্গে আমার যেসব স্মৃতি আছে তার বেশিরভাগই গ্রামকে ঘিরে। আমি গ্রামে তেমন একটা যাই না। কিন্তু আগে বছরে একবার যাওয়া পড়তো। নানীর বাড়ি। তখন ভোরে উঠে কুয়াশা দেখতাম। এমন কুরবানীর ঈদের সময়ই যেতাম। দুপুরের পর পর বাজারে যেতাম খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে। খাওয়া-দাওয়া, চা-নাস্তা শেষে পড়ন্ত বিকেলে শত শত মাইল ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে বাড়ি ফেরার কথা খুব মনে পড়ছে। আর সন্ধ্যার আগে আগেই কুয়াশার চাদর নেমে আসতো। মনে হতো, এই সামনে একটি পোর্টাল। এর অপর পাশে রয়েছে অন্য কোনো দুনিয়া। এক দিকে দুর্বল হয়ে আসা সূর্যের তেজ, অন্যদিকে গাঢ় হতে থাকা কুয়াশার পর্দা। দৃশ্যটা সত্যিই খুব মিস করছি এই মূহুর্তে।শীতকালের সঙ্গে ঢাকারও কিছু স্মৃতি আছে। স্মৃতিগুলো বিশেষ কাউকে ঘিরে নয় মোটেই। একটু কেমন যেন। কুয়াশার চাদরের মতোই ঘোলাটে, সাদা, অনিশ্চিত। তখন পাশের বাসার চার তলায় ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতাম। নিজের বাড়ি ফেলে ফ্ল্যাটে কেন গিয়েছিলাম সেই রহস্য এখনও উদ্ঘাটন না হলেও সেই বাসায় জড়িয়ে আছে অনেক স্মৃতি। আপুর বিয়ে সেসব স্মৃতির মধ্যে একটা।কিন্তু শীতকালের সঙ্গেও কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। খুব আবছাভাবে মনে পড়ে। বারান্দায় বসে কুয়াশা দেখার কথা। উপর থেকে নিচে কিছুই দেখা যেত না। যেন মেঘ ভেদ করে চলে এসেছি পরীদের দেশে। সেই পরীদের দেখা কখনও যদিও পাইনি, কিছু একটা স্মৃতি আছে সেই বিল্ডিং আর কুয়াশাকে ঘিরে। কোনোভাবেই আমি আজ অবধি সেই স্মৃতিগুলো হাতড়ে পাইনি। স্মৃতিটা অনিশ্চিত, একটু অবয়ব মাত্র।বছর ঘুরে আবারও রাতের ল্যাম্পপোস্টের সামনে কুয়াশার অস্তিত্ব অনুভব করে এই সব কথা মনে পড়ে গিয়েছিল মূহুর্তেই। কিন্তু এখন বসে আছি আমার ঘরে। শীতের রেশমাত্র নেই। বাইরে হয়তো কুয়াশা আছে, গিয়ে দেখতে ইচ্ছে করছে না। কোনো স্মৃতি নেই। তবু কেমন যেন শূন্য একটা অনুভূতি।কে জানে, হয়তো মাইক্রোফোনের সামনে থাকা বাউলগুলোই সবকিছুর জন্য দায়ী।
 

Sample text

Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates