জ্যোৎস্নার নির্মল আলোতে পুরো জগৎ যেন সাঁতার কাটছে। চাঁদের এই রুপোলী-স্নিগ্ধ আলোতে রাতের
পৃথিবী অন্য সাঁজ ধারণ করে।রাতের এই রুপ অয়নকে সম্মোহিতের মত টানে।প্রায় প্রত্যেক জ্যোৎস্নার রাতেই এদিকটাতে হাঁটতে আসে সে। যদিও আজ আসার পেছনে একটা বিশেষ কারন আছে। আজ তার মন অনেক খারাপ। তার বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে আজ তার ভালোবাসার মানুষটি অন্য এক পুরুষের হাত ধরেছে। অয়ন তো কখনো কোন কপটতা করেনি।সবসময় তার অবস্থান থেকে ছিলো সৎ। তাহলে তার সাথে কেন এমনটি হলো? এসব ভাবতে ভাবতে হাটছিলো সে। রাতের নিস্তব্ধতা কেমন যেন এক রহস্যময় আবরণ সৃষ্টি করছে চারপাশে। সে আবরণ যেন অয়নকেও ঘিরে ফেলছে। নিকোটিনের স্বাদ গ্রহনে পিপাসু হয়ে উঠছে ফুসফুস। অয়ন বুক পকেট থেকে একটি সিগারেট বের করে বারুদের নির্মম ঘষায় ওটার উপরিভাগে আগুন ধরালো।সিগারেটের প্রতিটি টানে যেন একাকীত্বের স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে
সে। আনমনা মন আরো বেশি আনমনা হয়ে পড়ছে।-এই তোমার ম্যাচ টা একটু দেও তো।দাঁড়িয়ে পড়লো সে। ঘুরে তাকালো। মধ্যবয়স্ক এক লোক দাঁড়িয়ে তার একদম কাছেই। বুঝতে পারলো সে আসলেই বেশি আনমনা হয়ে পড়েছিলো। জ্যোৎস্নার আলোতেও লোকটির মুখাবয়ব ভালো বোঝা যাচ্ছিলো না।ম্যাচটি হাতে দিতেই দক্ষ হাতে সিগারেট ধরিয়ে ফেললো সে।তারপর হাঁটতে শুরু করে সে বললো-থেমে পড়লে কেন? আর হাঁটবে না?হুম। হাঁটবো।হাঁটতে লাগলো ২ জন। লোকটির হাঁটার গতি কম। কিন্তু সে এখনো
অয়নের আগে আগেই হাটছে।লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে।কিন্তু কেন যেন লোকটি সম্পর্কে কিছুই জানতে ইচ্ছে করছে না অয়নের। এই নির্লিপ্ততা স্বভাবগত না, পরিবেশগত। লোকটিই নিস্তব্ধতা ভেঙে বলে উঠলো--সিগারেটের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে সে নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যকে আনন্দ দেয়, যা অন্য কোন কিছু থেকেই পাওয়া যায় না।-হুম।-আমি শুধু নিকোটিনের স্বাদ পাবার জন্য সিগারেট খাইনা।
নিজের স্বার্থপরতার বৈশিষ্টটিকে বদলে ফেলার জন্য খাই।-হুম।-তুমি কি হুম ছাড়া আর কিছু বলতে
পারো না!!!-হুম। ওহহ সত্যি আমি দুঃখিত। আসলে আমি একটু অন্যমনষ্ক ছিলাম।-এটা যদি একটু অন্যমনষ্কতা হয়,তাহলে বেশি অন্যমনষ্কতা কি???আসলে, একটু বেশিই অন্যমনষ্ক ছিলাম।-তা তোমার বেশি অন্যমনষ্ক থাকার কারণটা কি বলে ফেলো?অয়ন প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে সব খুলে বললো। সব শুনে লোকটি বললো -তুমি কি মনে করো সেও তোমার কথা ভেবে এরকম আনমনা হয়ে আছে? সে তার পুরো মনোযোগ দিয়ে এতক্ষনে তার কপট ভালোবাসার জালে ফেলা নতুন সেই পুরুষের সাথে কথা বলছে।-কিন্তু সে তো আবার ফিরেও আসতে পারে। আমি অপেক্ষা করবো।-যদি সে ফিরে আসার হতো তাহলে সে চলে যেত না। আর মানুষকে একবারেই চিনতে হয়। বারেবারে না।-কিন্তু আমি যে ওকে অনেক
ভালবাসতাম।-কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালবাসতে শেখো।কারণ ভালোবাসা অনুভূতিটা হৃদয় থেকে আসে, হৃদয়হীনা কোন নারীর জন্য নিজের হৃদয়ের এই বিশেষ অনুভূতিটির অপব্যাবহার করোনা।লোকটার কথাগুলো জমাট বাধা কষ্ট যেন হালকা করে দিচ্ছিলো।আর কিছু ভূল ভেঙে দিচ্ছিলো যা ভাঙ্গা খুবই দরকার ছিলো। তবে লোকটার কথাগুলো যেন শুরু থেকেই কেমন পরিচিত মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো আগে এরকম কথা শুনেছি কোথাও।সে মাথা নিচু করে চিন্তা করতে করতে হঠাৎই বুঝতে পারলো। আবছা অবয়বের আড়ালে রহস্যময়ী আচরণের মানুষটি হুমায়ুন স্যার ছাড়া আর কেউ নন।সে সাথে সাথে মাথা তুলে তাকালো।কিন্তু কোথায় কে?? সামনে তাকিয়ে দেখলো রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোর মাঝে সে একা দাঁড়িয়ে। আর তার ঠিক সামনে তার বাসার সবুজ রঙের গেটটি দেখা যাচ্ছে। ঘুরতে ঘুরতে কখন নিজের বাসার সামনে চলে এসেছে এটা সে বুঝতেই পারেনি,তবে সে বুঝতে পেরেছে তার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়।অয়ন গেট দিয়ে ঘরে ঢুকছে আর ভাবছে, সে কি আসলেই হুমায়ূন স্যারের দেখা পেয়েছিলো?নাকি সবই ছিলো তার কল্পনা??
পৃথিবী অন্য সাঁজ ধারণ করে।রাতের এই রুপ অয়নকে সম্মোহিতের মত টানে।প্রায় প্রত্যেক জ্যোৎস্নার রাতেই এদিকটাতে হাঁটতে আসে সে। যদিও আজ আসার পেছনে একটা বিশেষ কারন আছে। আজ তার মন অনেক খারাপ। তার বিশ্বাস ভেঙে দিয়ে আজ তার ভালোবাসার মানুষটি অন্য এক পুরুষের হাত ধরেছে। অয়ন তো কখনো কোন কপটতা করেনি।সবসময় তার অবস্থান থেকে ছিলো সৎ। তাহলে তার সাথে কেন এমনটি হলো? এসব ভাবতে ভাবতে হাটছিলো সে। রাতের নিস্তব্ধতা কেমন যেন এক রহস্যময় আবরণ সৃষ্টি করছে চারপাশে। সে আবরণ যেন অয়নকেও ঘিরে ফেলছে। নিকোটিনের স্বাদ গ্রহনে পিপাসু হয়ে উঠছে ফুসফুস। অয়ন বুক পকেট থেকে একটি সিগারেট বের করে বারুদের নির্মম ঘষায় ওটার উপরিভাগে আগুন ধরালো।সিগারেটের প্রতিটি টানে যেন একাকীত্বের স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে
সে। আনমনা মন আরো বেশি আনমনা হয়ে পড়ছে।-এই তোমার ম্যাচ টা একটু দেও তো।দাঁড়িয়ে পড়লো সে। ঘুরে তাকালো। মধ্যবয়স্ক এক লোক দাঁড়িয়ে তার একদম কাছেই। বুঝতে পারলো সে আসলেই বেশি আনমনা হয়ে পড়েছিলো। জ্যোৎস্নার আলোতেও লোকটির মুখাবয়ব ভালো বোঝা যাচ্ছিলো না।ম্যাচটি হাতে দিতেই দক্ষ হাতে সিগারেট ধরিয়ে ফেললো সে।তারপর হাঁটতে শুরু করে সে বললো-থেমে পড়লে কেন? আর হাঁটবে না?হুম। হাঁটবো।হাঁটতে লাগলো ২ জন। লোকটির হাঁটার গতি কম। কিন্তু সে এখনো
অয়নের আগে আগেই হাটছে।লোকটিকে চেনা চেনা মনে হচ্ছে।কিন্তু কেন যেন লোকটি সম্পর্কে কিছুই জানতে ইচ্ছে করছে না অয়নের। এই নির্লিপ্ততা স্বভাবগত না, পরিবেশগত। লোকটিই নিস্তব্ধতা ভেঙে বলে উঠলো--সিগারেটের সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হচ্ছে সে নিজেকে নিঃশেষ করে অন্যকে আনন্দ দেয়, যা অন্য কোন কিছু থেকেই পাওয়া যায় না।-হুম।-আমি শুধু নিকোটিনের স্বাদ পাবার জন্য সিগারেট খাইনা।
নিজের স্বার্থপরতার বৈশিষ্টটিকে বদলে ফেলার জন্য খাই।-হুম।-তুমি কি হুম ছাড়া আর কিছু বলতে
পারো না!!!-হুম। ওহহ সত্যি আমি দুঃখিত। আসলে আমি একটু অন্যমনষ্ক ছিলাম।-এটা যদি একটু অন্যমনষ্কতা হয়,তাহলে বেশি অন্যমনষ্কতা কি???আসলে, একটু বেশিই অন্যমনষ্ক ছিলাম।-তা তোমার বেশি অন্যমনষ্ক থাকার কারণটা কি বলে ফেলো?অয়ন প্রথমে ইতস্তত করলেও পরে সব খুলে বললো। সব শুনে লোকটি বললো -তুমি কি মনে করো সেও তোমার কথা ভেবে এরকম আনমনা হয়ে আছে? সে তার পুরো মনোযোগ দিয়ে এতক্ষনে তার কপট ভালোবাসার জালে ফেলা নতুন সেই পুরুষের সাথে কথা বলছে।-কিন্তু সে তো আবার ফিরেও আসতে পারে। আমি অপেক্ষা করবো।-যদি সে ফিরে আসার হতো তাহলে সে চলে যেত না। আর মানুষকে একবারেই চিনতে হয়। বারেবারে না।-কিন্তু আমি যে ওকে অনেক
ভালবাসতাম।-কাউকে ভালোবাসার আগে নিজেকে ভালবাসতে শেখো।কারণ ভালোবাসা অনুভূতিটা হৃদয় থেকে আসে, হৃদয়হীনা কোন নারীর জন্য নিজের হৃদয়ের এই বিশেষ অনুভূতিটির অপব্যাবহার করোনা।লোকটার কথাগুলো জমাট বাধা কষ্ট যেন হালকা করে দিচ্ছিলো।আর কিছু ভূল ভেঙে দিচ্ছিলো যা ভাঙ্গা খুবই দরকার ছিলো। তবে লোকটার কথাগুলো যেন শুরু থেকেই কেমন পরিচিত মনে হচ্ছিলো। মনে হচ্ছিলো আগে এরকম কথা শুনেছি কোথাও।সে মাথা নিচু করে চিন্তা করতে করতে হঠাৎই বুঝতে পারলো। আবছা অবয়বের আড়ালে রহস্যময়ী আচরণের মানুষটি হুমায়ুন স্যার ছাড়া আর কেউ নন।সে সাথে সাথে মাথা তুলে তাকালো।কিন্তু কোথায় কে?? সামনে তাকিয়ে দেখলো রাস্তার পাশের ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোর মাঝে সে একা দাঁড়িয়ে। আর তার ঠিক সামনে তার বাসার সবুজ রঙের গেটটি দেখা যাচ্ছে। ঘুরতে ঘুরতে কখন নিজের বাসার সামনে চলে এসেছে এটা সে বুঝতেই পারেনি,তবে সে বুঝতে পেরেছে তার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ নয়।অয়ন গেট দিয়ে ঘরে ঢুকছে আর ভাবছে, সে কি আসলেই হুমায়ূন স্যারের দেখা পেয়েছিলো?নাকি সবই ছিলো তার কল্পনা??
No comments:
Post a Comment