প্রথম পর্বের বাকি অংশ
শুভ্র তার ডায়রিতে তার এই ইচ্ছার কথাটা লিখে রাখল।সকাল মানে হল নুতুন একটা
দিনের শুরু যদি শুরুটা ভাল হয় সারাদিন ভাল যায়,তাই নিউজ পেপার এর খবরগুলা
যদি খারাপ না হয়ে ভাল হতো তাহলে সবাই একটি সুন্দর সকাল দিয়ে তাদের প্রতিদিন
শুরু করতে পারতো। তাই শুভ্র চায় একটা নিউজ পেপার বানাতে যাতে শুধু সুখবরই
থাকবে এবং যার নাম হবে “বাংলার সুখবর”।বাংলাদেশ হল অনেক সুন্দর একটা
দেশ,যার প্রকৃতির রুপ দেখে যে কোন লেখক মুগ্ধ হয়ে হাজার গল্প ও কবিতা লিখতে
পারে।শুভ্র ডায়রি লিখা বন্ধ করলো।তার মাথায়ে একটা নুতুন গল্প লিখার চিন্তা
এসেছে,তাই শুভ্র তার গল্প লিখার খাতা-কলম বের করলো এবং লিখতে শুরু
করলো।শুভ্র যখন কোন গল্প লিখা শুরু করে তখন তার আর স্বাভাবিক দুনিয়ার কোন
খবর থাকে না সে তার গল্পের মাঝে ডুবে যায়।শুভ্রের মা সকালে ঘুম থাকে উঠে
সবার আগে শুভ্রের খবর নেন কারন আজও শুভ্র তার মায়ের কাছে সেই ছোটবেলার
বাচ্চা শুভ্র।শুভ্র মা মনে করেন শুভ্র শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল তাই তিনি
তার অনেক বেশি কেয়ার করেন।শুভ্র মনোযোগ দিয়ে তার গল্প নিয়ে চিন্তা করছে এবং
লিখার চেষ্টা করছে এমন সময়ে শুভ্রের মা তার রুমে ঢুকলেন,সাধারনত লিখা-লিখি
করার সময় কারো বিরক্ত করা শুভ্র একদম পছন্দ করে না,কিন্তু এই পৃথিবীতে
শুভ্র তার মাকে সবচেতে বেশি ভালবাসে তাই মাকে দেখতে পেয়ে শুভ্র তার লিখার
খাতাটা বন্ধ করে রাখল।শুভ্রের মা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কিরে কি করিস,শুভ্র
উত্তর দিলো কিছু না মা লিখার চেষ্টা করছিলাম।শুভ্রের মা বলেন তাহলে কি আমি
তোকে বিরক্ত করলাম?শুভ্র উত্তর দিলো মা কি কোনদিন তার ছেলেকে বিরক্ত করতে
পারে!!শুভ্রের মা হেঁসে বলেন আজ নাস্তাই কি খাবি বল তুই যা বলবি আজ তাই
বানাবো।আজ শুভ্র খিচুড়ি খেতে মন চাচ্ছে তাই সে মাকে তাই রান্না করতে বল।আজ
আবহাওয়াটা অনেকটা মেঘলা এই আবহাওয়াতে খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।শুভ্র
উঠে প্রথমে রান্নাঘরে গিয়ে চা গরম করে নিল তারপর দুই হাতে দুই কাপ চা নিয়ে
দাদার রুমের দিকে গেলো রুম গিয়ে দেখল দাদা বসে আছেন,শুভ্রকে দেখেতে পেয়ে
তার দাদা অনেক খুশি হলেন এবং জানতে চাইলেন যে দাদুভাই তুমি কেমন আছো?শুভ্র
বল আমি ভাল আছি তুমি ভাল আছো তো?হুম ভালই আছি!!তারপর শুভ্র তার দাদাকে এক
কাপ চা দিলো এবং চা খেতে খেতে গল্প করতে লাগলো।শুভ্র ভার্সিটি যাওয়ার জন্য
রেডি হল,আজ তার একটা জরুরি লেকচার আছে,শুভ্র ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে বাংলা
বিভাগের ফাইনাল ইয়ার পড়ে তার বাসা উত্তরা তাই একঘণ্টা আগে তাকে বাসা থেকে
বের হতে হয়।শুভ্র রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে ডাইভার গাড়ি নিয়ে বসে আছে।শুভ্র
গাড়িতে উঠে রওনা দিলো।আজ তার মনটা অনেক ভাল কারন আজ পূজার বন্ধের পর প্রথম
ক্লাস অনেকদিন পর সব বন্ধুদের সাথে দেখা হবে।আজ অনেক মজা হবে ক্লাস শেষে।
To be continue.........................!!!!
To be continue.........................!!!!
No comments:
Post a Comment