Ads 468x60px

Wednesday, November 4, 2015

শুভ্রের ও তার বেস্ট-ফ্রেন্ডস লেখক- শুভ্র সকাল



আমার এই গল্পটি লিখা শুভ্র ও তার বেস্ট ফ্রেন্ডসদেরকে নিয়ে।বন্ধু সাথে বন্ধুর সম্পর্ক কতটা গভীর ও মধুর হতে পারে এবং রিয়াল ফ্রেন্ড বলতে কি বুঝায় তা আমি আমার লিখার মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।লিখার কিছু চরিত্র কাল্পনিক আর কিছু বাস্তব।পাঠকদের লিখাটি ভাল লাগলে আমি সার্থক হবো।আমার মনে হয় যদি পাঠকরা সময় বের করে একটু মনোযোগ দিয়ে গল্পটা আমার বিশ্বাস আপনাদের সবার ভাল লাগবে।

                                                 প্রথম-পর্ব

শুভ্র খুব ভরে ঘুম থেকে উঠে,কারন সকালের মিষ্টি আলো তার অনেক ভাল লাগে,ভরে আলো এবং বাতাস দেহের জন্য অনেক ভাল,আজ শুভ্র নিজেই নিজের জন্য এবং বাসার সবার জন্য চা বানাল,কারন সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খায়ার অভ্যাস ফামিল্যির সবার আছে।ভাল কথা শুভ্রটা কে তাই তো সবাইকে বলা হল না।শুভ্র হল একজন তরুন লেখক যে আজকালকের তরুণদের মনের কথা নিজের লিখার মাধ্যমে তার পাঠকদের কাছে তুলে ধরে।শুভ্রের একটা নীল রঙ্গের ডায়রি আছে যাতে সবসময়ে সে নিজের মনের কাউকে না বলা কথা গুলো লিখে রাখে।শুভ্র দেখেতে অনেক সাধারন,পাওয়ার-ওয়ালা চশমা পরে,চশমা ছাড়া দূরের কিছু দাখতে পায় না।খুব কম কথা বলে,ফতুয়া এবং পায়জামা পড়ে সবসময়।লিখালিখি করাটা জেন তার একধরনের নেশা।শুভ্র চা খেল তারপর সে তার নীল ডায়রিটা নিয়ে লিখতে বসলো।আজ শুভ্রের তারা কলেজ জীবনের কিছু কথা অনেক বেশি মনে পড়ছে তাই সে আজ কলেজ স্রিতি গুলো মনে করে লিখার ট্রাই করবে।আমাদের সবার জীবনে অতীতের অনেক কিছু থাকে যা আমারা অনেক মনে করি,যার মধ্যে কিছু জিনিস আছে ভাল কিছু জিনিস আছে খারাপ মানুষ ভালটাকে মনে রাখে আর খারাপটা ভুলে যায়,এটাই প্রকৃতির নিয়ম।শুভ্র লিখা শুরু করলো এমন সময় কলিমবেল বেজে উঠলো,এত সকালে কে আসলো?দরজার কাছে গিয়ে শুভ্র দেখেতে পেলো খবরের কাগজ মাটিতে পরে আছে ও ও তাহলে পেপার-ওয়ালা বেল দিয়েছে।শুভ্র পেপারটা হাতে করে নিজের রুমে চলে গেল তারপর পেপারের হেড লাইন গুলো দেখেতে লাগলো।পেপার পড়তে বসে শুভ্র এর মনটা খারাপ হলে গেলো কারন পেপারে বেশিভাগ খবরই খারাপ খবর,আসলে আজকাল ভাল খবর খুঁজে পায়া যায় খুবই কম,শুভ্র খুব ইচ্ছা এমন একটা নিউজ পেপার বানাবে যাতে শুধু ভাল খবর থাকবে কোন প্রকার খারাপ খবর থাকবে না।শুভ্র তার ডায়রিতে তার এই ইচ্ছার কথাটা লিখে রাখল।সকাল মানে হল নুতুন একটা দিনের শুরু যদি শুরুটা ভাল হয় সারাদিন ভাল যায়,তাই নিউজ পেপার এর খবরগুলা যদি খারাপ না হয়ে ভাল হতো তাহলে সবাই একটি সুন্দর সকাল দিয়ে তাদের প্রতিদিন শুরু করতে পারতো। তাই শুভ্র চায় একটা নিউজ পেপার বানাতে যাতে শুধু সুখবরই থাকবে এবং যার নাম হবে “বাংলার সুখবর”।বাংলাদেশ হল অনেক সুন্দর একটা দেশ,যার প্রকৃতির রুপ দেখে যে কোন লেখক মুগ্ধ হয়ে হাজার গল্প ও কবিতা লিখতে পারে।শুভ্র ডায়রি লিখা বন্ধ করলো।তার মাথায়ে একটা নুতুন গল্প লিখার চিন্তা এসেছে,তাই শুভ্র তার গল্প লিখার খাতা-কলম বের করলো এবং লিখতে শুরু করলো।শুভ্র যখন কোন গল্প লিখা শুরু করে তখন তার আর স্বাভাবিক দুনিয়ার কোন খবর থাকে না সে তার গল্পের মাঝে ডুবে যায়।শুভ্রের মা সকালে ঘুম থাকে উঠে সবার আগে শুভ্রের খবর নেন কারন আজও শুভ্র তার মায়ের কাছে সেই ছোটবেলার বাচ্চা শুভ্র।শুভ্র মা মনে করেন শুভ্র শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল তাই তিনি তার অনেক বেশি কেয়ার করেন।শুভ্র মনোযোগ দিয়ে তার গল্প নিয়ে চিন্তা করছে এবং লিখার চেষ্টা করছে এমন সময়ে শুভ্রের মা তার রুমে ঢুকলেন,সাধারনত লিখা-লিখি করার সময় কারো বিরক্ত করা শুভ্র একদম পছন্দ করে না,কিন্তু এই পৃথিবীতে শুভ্র তার মাকে সবচেতে বেশি ভালবাসে তাই মাকে দেখতে পেয়ে শুভ্র তার লিখার খাতাটা বন্ধ করে রাখল।শুভ্রের মা তাকে জিজ্ঞাসা করলেন কিরে কি করিস,শুভ্র উত্তর দিলো কিছু না মা লিখার চেষ্টা করছিলাম।শুভ্রের মা বলেন তাহলে কি আমি তোকে বিরক্ত করলাম?শুভ্র উত্তর দিলো মা কি কোনদিন তার ছেলেকে বিরক্ত করতে পারে!!শুভ্রের মা হেঁসে বলেন আজ নাস্তাই কি খাবি বল তুই যা বলবি আজ তাই বানাবো।আজ শুভ্র খিচুড়ি খেতে মন চাচ্ছে তাই সে মাকে তাই রান্না করতে বল।আজ আবহাওয়াটা অনেকটা মেঘলা এই আবহাওয়াতে খিচুড়ি খেতে অনেক বেশি মজা লাগে।শুভ্র উঠে প্রথমে রান্নাঘরে গিয়ে চা গরম করে নিল তারপর দুই হাতে দুই কাপ চা নিয়ে দাদার রুমের দিকে গেলো রুম গিয়ে দেখল দাদা বসে আছেন,শুভ্রকে দেখেতে পেয়ে তার দাদা অনেক খুশি হলেন এবং জানতে চাইলেন যে দাদুভাই তুমি কেমন আছো?শুভ্র বল আমি ভাল আছি তুমি ভাল আছো তো?হুম ভালই আছি!!তারপর শুভ্র তার দাদাকে এক কাপ চা দিলো এবং চা খেতে খেতে গল্প করতে লাগলো।শুভ্র ভার্সিটি যাওয়ার জন্য রেডি হল,আজ তার একটা জরুরি লেকচার আছে,শুভ্র ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে বাংলা বিভাগের ফাইনাল ইয়ার পড়ে,তার বাসা উত্তরা তাই একঘণ্টা আগে তাকে বাসা থেকে বের হতে হয়।শুভ্র রেডি হয়ে নিচে নেমে দেখে ডাইভার গাড়ি নিয়ে বসে আছে।শুভ্র গাড়িতে উঠে রওনা দিলো।আজ তার মনটা অনেক ভাল কারন আজ পূজার বন্ধের পর প্রথম ক্লাস অনেকদিন পর সব বন্ধুদের সাথে দেখা হবে।আজ অনেক মজা হবে ক্লাস শেষে।ক্লাস শেষ হলো কেউ বাসায়ে ফিরে যাচ্ছে,কেউ আবার বন্ধুদের সাথে গল্প করছে শুভ্র দাড়িয়ে অপেক্ষা করছে তার বন্ধুদের জন্য।শুভ্রের ৫টি বন্ধু আছে যাদেরকে শুভ্র তার সবচেয়ে ভাল বন্ধু মনে করে।তারদের নাম সালমান,ফারহান,সিয়াম এবং তরী ও তয়া। সালমান,ফারহান,সিয়াম ও তয়া অনেক মাস্তি করতে পছন্দ করে তারা সবসময় শুভ্রকে নিয়ে মজা করে এবং তাকে রাগায়,শুভ্র জানে তারপরও বন্ধুদের সবসময় মাফ করে দেয়।তরী অন্যদের থেকে আলাদা সে সবার শুভ্রের সাথে মজা করাটা পছন্দ করে না,সে সবাইকে মজা করেতে বারণ করে এবং মজা করলে সবাইকে বকা দেয়।শুভ্রের তরীর তার প্রতি এই ধরনের কেয়ার অনেক ভাল লাগে,শুভ্র তরীকে মনে মনে বন্ধুর থাকে অনেক বেশি আপন মানুষ মনে করে।শুভ্র অনেকক্ষণ ধরে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করছে কিছুক্ষণ পর আস্তে আস্তে সবাই চলে আসলো শুভ্রের মনটা অনেক ভাল হয়ে গেলো।শুভ্রের বন্ধুদের মধ্যে সবচেয়ে দুষ্ট এবং মজার দুইটা মানুষ আছে তারা হলো সালমান ও জভান তারা এসেই শুভ্রকে নিয়ে মজা শুরু করে দিলো কিন্তু একটু পরে যখন তরীকে আসতে দেখেলো তারা মজা করা বন্ধ করে দিলো। সিয়াম হলো শুভ্রদের গ্রুপের সবচেয়ে বড়লোক এবং বুদ্ধিমান ছেলে,তার বাবার অনেক টাকা তিনি বছরের বেশিরভাগ সময়ই বিদেশে থাকেন,তাই বেশিরভাগ সময়ই সিয়ামকে একাই থাকতে হয় কারণ যখন সিয়ামের বয়স ১০ বছর তখন সিয়ামের মা হৃদরোগে মারা যান। সিয়াম,সালমান,ফারহান,শুভ্র এবং তয়া ছোটবেলা থাকলে একই সাথে বড় হয়েছে,একই স্কুলে থেকে শুরু করে আজও একই ইউনিভার্সিটিতে পড়তেছে তাই তাদের বন্ধুক্তের গভীরতা অনেক বেশি। সালমান,ফারহান,শুভ্র এবং তয়া কোনদিন সিয়ামকে একা ফিল সুযোগ দেয়নি তাই আজ সিয়াম একা হয়েও একা না।সিয়াম কোনদিন টাকাকে মায়া করে না তাই সবসময় সে যেকোনো বাপারে ফারহানকে টাকা দিয়ে হেল্প করে ফারহান অনেক মেধাবী একজন ছাত্র,কিন্তু আর্থিকভাবে সে অনেক দুর্বল কারণ ফারহানের বাবা সরকারী একজন কর্মকর্তা যার বেতন খুবী কম তাই ফারহানের মন খারাপ থাকলে সিয়াম বুঝতে পারে তার টাকার দরকার।সিয়াম ঠিক করেছে ফারাহান বাকি সেমিস্টারের টাকাগুলো সে দিবে কারণ তার বন্ধুর মেধার নষ্টের কারণ টাকা হবে এটা সে কোনদিন মেনে নিতে পারবে না।সিয়াম আজও ফারহানকে তার এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি,কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই বলবে।সালমানের কথায়ে আসা যাক সালমান মানে শুধু মজা আর মজা।সালমানের আরেকটা বড় গুন আছে সে খুব তাড়াতাড়ি মেয়েদের পটাতে পারে,আর তার মন খুব বেশিদিন একজনের সাথে টিকে না,তাই সে আজও রিয়েল লাভ করতে পারেনি।তয়া হলো খুবই ছটফটে টাইপের একটা মেয়ে সবার সাথে মজা করা সবাইকে হাসানো তাদের মন ভাল করার চেষ্টা করা এগুলো করতে তয়ার অনেক ভাল লাগে,সে তার কোন বন্ধু মন খারাপ থাক তার কোনদিন মেনে নিতে পারে না।তয়ার মনে লুকানো একটা কথা আছে তার সে ছাড়া আর কেউ জানে না,তার হলো সে সালমানকে ছোটবেলা থাকে অনেক ভালবাসে কিন্তু সে সালমানকে সেটা বলতে চায় না।কারণ তার মনে হয় কিছু কথা না বলে মনের মাঝে লুকিয়ে রাখাই ভাল।তরী হলো সালমান,ফারহান,সিয়াম,তয়া ও শুভ্রের প্রথম ইউনিভার্সিটি বন্ধু,তাদের বন্ধুক্তের বয়স তিন বছরের কাছাকাছি।কিন্তু গভীরতা অনেক বেশি।তরী ও তয়া হলো বেস্ট ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস।আর সালমান,ফারহান,সিয়াম,তয়া ও শুভ্র হলো ছোটবেলা বেস্ট ফ্রেন্ডস।সিয়ামের এই শহরে থাকতে থাকতে দম বন্ধু হয়ে আসছে তাই সে ঢাকার বাহিরে কোথাও ঘুরতে যেতে চায় তাই সে আজ তার আমি মনে কথাটা সবার সাথে শেয়ার করলো।সে বলো এবার সেমিস্টারের শেষে তারা সবাই ঢাকার বাহিরে ঘুরতে যাবে এবং এই টুরের সব খরচ সিয়াম নিজে দিবে কিন্তু তার একটাই শর্ত আছে তার হলো সবাইকেই যেতে হবে কেউ না বলতে পারবে না।

No comments:

Post a Comment

 

Sample text

Sample Text

Sample Text

 
Blogger Templates