লেখক : শুভ্র সকাল
ছোটবেলা থাকেই সকালের গোয়েন্দাগিরিটা অনেক বেশি পছন্দ করে।তাই পড়ার বইয়ের থেকে সে গোয়েন্দা কাহিনীর বইটাই বেশি পড়েছে,এইজন্যই সারাদিন সে সবকিছুতেই শুধু রহস্যের গন্ধ খুঁজে পেতো।তার এই ভাললাগা যে একদিন তাকে একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা করে তুলবে তা সে জীবনে কল্পনাও করেনি,কারণ মানুষ তার শখটাকে সবসময় শখই বানিয়ে রাখতেই ভালবাসে পেশা বানায় না।কিন্তু যারা শখের ব্যাপারটাকে গম্ভীরভাবে নেয় তারা জীবনে অনেক বড় হতে পারে।সকালের পুরা নাম হলো শুভ্র সকাল,সে বর্তমান যুগের একজন বিখ্যাত রহস্য উমোচোক বা গোয়েন্দা।শুভ্র সকালের বিখ্যাত গোয়েন্দা হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো রহস্য উমোচনের পর সে রহস্য এবং তার সমাধান নিয়ে শেষ বয়সে পড়ার জন্য লিখে রাখা গল্পগুলো,যা একদিন তার এক বন্ধু চোখে পরে যায় এবং পড়ার জন্য সে সকালকে বলে তার বাসায় নিয়ে যায় সকালের সে বন্ধু নাম হলো হিমালয়।হিমালয়ের ছোট চাচা হলেন একজন বিখ্যাত বই এডিটর তিনি তার জরুরী কাগজ খুঁজতে গিয়ে সকালের লিখা গল্পগুলো পড়েন এবং কিছুদিন পর তিনি গল্পগুলো একটা বই আকারে ছাপান যার নাম তিনি দেন “রহস্যালয়” তার এই বই শুভ্র সকালকে একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা বানিয়ে দেয়।সকাল কোনদিন চিন্তা করেনি একদিন তার নিজের জন্য লিখা গল্পগুলো তাকে এতটা বিখ্যাত বানাবে।তাই আজ সকাল একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা সাথে সাথে একজন বিখ্যাত লেখকও বটে। একদিন সকাল তার লিখাগুলো বই আকারে ছাপানোর জন্য হিমালয়ের চাচাকে ধন্যবাদ দেয়ার জন্য তার অফিসে যায়।হিমালয়ের চাচার নাম হলো প্রমথ সরকার,তিনি সকালকে দেখে অনেক খুশি হন এবং তার লিখা গল্পগুলো যে বই আকারে ছাপানো হয়েছে সেই বই অসম্ভব সফলতার কথা সকালকে জানান।তার শুনে সকাল অনেক আনন্দিত হয়।প্রমথ সরকার সকালকে তার প্রতিটি রহস্য এবং তার সমাধান নিয়ে গল্প লিখতে অনুরোধ করেন যা তিনি প্রতি বছর বই আকারে ছাপাবেন এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো প্রমথ সরকার বলেন তিনি এই বই থাকে লাভের ৪০% তিনি সকালকে দিবেন।সকাল তার প্রস্তাবটা গ্রহন করে এবং সে বলে তার আয়ের টাকা জমিয়ে তা দিয়ে সে একটা হসপিটাল খুলতে চায়।যেখানে আতি দরিদ্র মানুষদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা করা হবে।প্রমথ সরকার তার কথা শুনে অনেক খুশি হন এবং সকালের জন্য রাখা “রহস্যালয়” এর প্রথম বইটি তাকে উপহার হিসেবে দেন।সকাল বাড়ি ফিরে আসার পর বইটি রেখে হাত-মুখ ধুয়ে কালিদাকে এক কাপ চা দিতে বলে এবং বইটি নিয়ে পড়া শুরু করে।
রহস্যালয়ের রহস্যের কাহিনী-১
সর্বনাশা রাজবাড়ী
No comments:
Post a Comment