লেখকঃ শুভ্র সকাল
২য় -পর্ব
উসা ধীরে ধীরে বড় হতে
থাকলো।এইদিকে লাবণ্যেরও ড্রাগের প্রতি আসিক্ততা দিন দিন বেড়ে যেতে লাগলো,একদিন লাবণ্যের
সাথে তপু ইসলাম নামের একজন লোকের পরিচয় হলো।তপু ইসলাম বাঙালি কিন্তু তার সকল ব্যবসা দুবাইতে তিনি অনেক ধনী
লোক।প্রতি মাসের ১৫দিন বাংলাদেশে থাকেন আর বাকি সময়টা দুবাইতে।প্রতি মাসে বাংলাদেশে
আসার পিছনে বড় কারণটা হলো তার মা এখানে থাকে তাই তিনি মাসের ১৫দিন বাংলাদেশ এই থাকে।তপু সাথে লাবণ্যের
পরিচয় হয় লাবণ্যের বান্ধুবির বার্থডে পার্টিতে।তপু হলো লাবণ্যের বান্ধুবির কাজিন।এত সুন্দর একটা মেয়েকে অনবরত ড্রাগ নিতে দেখে তপুর অনেক খারাপ
ও মায়ার সৃষ্টি হয়,সে তার কাজিনের কাছে জানতে চায় কেন ও কিভাবে লাবণ্যের এই আবস্থা
হলো।তপুর প্রশ্নের উত্তরে তার কাজিন তপুকে লাবণ্যের জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনী শুনায়।পুরো কাহিনী শুনার
পর তপু চোখে জল এসে যায় এবং সে তার মনে অজান্তে লাবণ্যকে পাগলের মতো ভালোবেসে ফেলে।পার্টি শেষ হয়
লাবণ্য Fully drunk এই আবস্থায়
সে একা বাসায় যেতে পারবেন না তাই তপু কাজিন ওকে নিয়ে বড় বিপদে পরে যায়,তপু বিদায় নিতে এলে তার কাজিন বিষয়টা তাকে জানায়।তপু বলে ঠিক আছে
আমি ওকে বাড়ি দিয়ে আসবো। এই বলে তপু লাবণ্যকে
ধরে তার গাড়িতে উঠালো।তপু চাইলে লাবণ্যের মাতাল সময়ের সুযোগ নিতে পারতো,কিন্তু তপু
সেই টাইপের ছেলে না।সে গাড়ি চালাবার সময় বার বার লাবণ্যের দিকে তাকাচ্ছিলো আর চিন্তা
করছিলো এমন একটা সুন্দর মেয়ে কেন তার জীবনটাকে এইভাবে নষ্ট করে দিচ্ছে। তপু ঠিক করলো আবার লাবণ্যের সাথে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা করবে।তপু লাবণ্যকে ঠিক
মতো বাড়ি নিয়ে গেলো এবং নিজের বাড়িতে ফিরে এলো।তপুও কিছুটা মদ খেয়েছে কিন্তু তারপরও তপুর সারা রাত ঘুম হলো
না,সে সারারাত ধুরে লাবণ্যের কথা চিন্তা করতে করতে ভরবেলা ঘুমাতে গেলো।ঘুম থেকে উঠলো
লাবণ্য কাল-রাতে বেশি মদ পান করার ফলে তার অনেক মাথা ব্যেথা করছে,তাই সে কাজের মেয়েটিকে
কড়া করে এক কাপ কফি বানিয়ে দেতে বলো।লাবণ্য তার মেয়েকে অনেক অনেক ভালোবাসতো কিন্তু তার নেশা জন্য
দিন দিন মেয়ের কাছ থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলো।প্রতিদিন সকালে সে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতো।আজও তাই করলো,কিছুক্ষণ
পর লাবণ্যের মনে পড়লো কাল রাতে তো সে অনেক বেশি মাতাল ছিলো তাহলে সে বাসায় কিভাবে আসলো?লাবণ্য
তার বান্ধুবিকে ফোন দিলো জানতে যে কে তাকে বাসায় পোঁছে দিয়েছে।তার বান্ধুবি তাকে
তপুর কথা বলো।লাবণ্য ধন্যবাদ জানাবার জন্য তার বান্ধুবি কাছ থাকে তপুর নাম্বার নিলো এবং তপুকে
ফোন করলো,ঘুমিয়ে থাকার কারণে তপু ফোন ধরলো না।পরে তপু ঘুম থেকে উঠে অচেনা নাম্বার থেকে আসা ফোন দেখে কল ব্যাক
করলো,লাবণ্য ফোন ধরলো,তপু যখন জানতে চাইলো কে বলছেন লাবণ্য বলো আমি লাবণ্য।তপু মনে অন্য রকম
একটা খুশি দোলা দিলো কিন্তু সে লাবণ্যের কাছে সেটা প্রকাশ করলো না,সে বলো বলেন কি বলবেন।লাবণ্য বলো কাল
রাতে আমাকে কষ্ট করে বাড়ি পোঁছে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ দেয়ার জন্য ফোন করেছি,তপু বলো এইভাবে
বললে হবে না,লাবণ্য কিছুটা চমকে যেয়ে বলো মানে,তপু বলো আমাকে এক কাপ কফি নিজ হাতে বানিয়ে
খাওয়াতে হবে তাহলেই আমি আপনার ধন্যবাদ গ্রহন করবো।লাবণ্য হেসে বলো ঠিক আছে সুবিধা মতো এসে খেয়ে যাবেন।তপু বলো আমি I’m joking its ok,কিন্তু আমরা বাহিরে কোথাও কফি
খেতে পারি লাবণ্য বলো ঠিক আছে।সেদিন বিকালে লাবণ্য ও তপু কফি হউজের দেখা করলো,এইভাবে ধীরে
ধীরে তপু সাথে লাবণ্যের closeness বাড়তে শুরু করলো,তপু লাবণ্যকে ভালোবাসতে শুরু করলো।তপু সবচেয়ে যে
জিনিসটা লাবণ্যের ভাল লাগতো তা হলো উসা প্রতি তার অসম্ভব মায়া ও ভালোবাসা।ধীরে ধীরে লাবণ্য
তার সব খারাপ বন্ধুদের থেকে দূরে সরে আসতে শুরু করলো এবং ড্রাগ নেয়া ছেড়ে দিলো,কিন্তু তপু প্রতি তার মনে ভালোবাসার কথাটা সে
তাকে বুঝতে দিলো না।কিছুদিন পর যখন তপুর ভালোবাসা আরও গভীর হয়ে গেলো,তখন তপু এবং লাবণ্য live together করা শুরু করলো।তাদের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক দুই ধরনের সম্পর্কই অনেক গভীরভাবে
চলতে লাগলো।একদিন লাবণ্য সিধান্ত নিলো সে তপুকে বিয়ে করবে এবং তারা নুতুন বাচ্চা নিবে এই কথাটা
সে তার বান্ধুবি এবং তপুর কাজিনকে জানালো যে জানতো না তপু এবং লাবণ্য একসাথে থাকে।সে শুনে আকাশ থেকে
পড়লো এবং লাবণ্যকে তপু আগের হওয়া বিয়ে কথা এবং সে কোনদিন বাবা হতে পারবে না সেই কথা
জানালো।
No comments:
Post a Comment